ব্রিট বাংলা ডেস্ক : বিশ্বের সর্বপ্রান্তে পৌছে গেছে ভয়াবহ করোনা ভাইরাস। কিন্তু এরমধ্যেও রয়েছে কয়েকটি দেশ ও অঞ্চল যারা এখনো রয়েছে সম্পূর্ন করোনার সংক্রমণ মুক্ত। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে করোনা ভাইরাস। এরপর এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র ১৮টি দেশ করোনা সংক্রমণের কোনো রিপোর্ট করেনি। জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত বাকি ১৭৫টি দেশেই করোনা ভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে।
চীনের পর দ্রুতই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পরে আশেপাশের দেশগুলোতে। এরমধ্যে রয়েছে থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও মালয়েশিয়া। প্রথম দিকেই এটি পৌছে যায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপেও।
গত মাসে চীন সম্পূর্ন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে করোনার সংক্রমণ। কিন্তু বৈশ্বিকভাবে প্রায় প্রতিটি দেশেই এটি দ্রুত সংক্রমিত হয়ে চলেছে। তবে বিস্ময়কর হলেও সত্য যে এখনো কিছু বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্র রয়েছে যেখানে করোনা পৌছাতে পারেনি। এই রাষ্ট্রগুলো হল, নাউরু, উত্তর কোরিয়া, পালাউ, সামোয়া, সাও টমি এন্ড প্রিন্সিপি, সলমোন দ্বীপপুঞ্জ, দক্ষিণ সুদান, তাজিকিস্তান, টঙ্গা, তুর্কিমিনিস্তান, টুভালু, ভানুয়াতু ও ইয়েমেন।
এখন পর্যন্ত যেসব দেশে করোনা ভাইরাসের কোনো সংক্রমণ শনাক্ত করা হয়নি। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এরমধ্যে কয়েকটিতে করোনা সংক্রমিত না হওয়ার সুযোগ কম। এরমধ্যে রয়েছে, ইয়েমেন, দক্ষিণ সুদান, তাজিকিস্তান ও উত্তর কোরিয়া। যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইয়েমেনে করোনা শনাক্তের কোনো প্রকৃয়াই চালু নেই। ফলে সেখান থেকে শনাক্ত হওয়াও সম্ভব নয়। অপরদিকে উত্তর কোরিয়ার আভ্যন্তরীন তথ্য বাইরে আসে খুব কম। তাই দেশটি তথ্য গোপন করে থাকলে জানা খুব কঠিন আসলেই দেশটি করোনা মুক্ত কিনা।
এছাড়া বাকি দেশগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাবে প্রায় সব কটিই দ্বীপরাষ্ট্র। ফলে প্রাকৃতিকভাবেই রাষ্ট্রগুলো আইসোলেটেড হয়ে আছে। এসব রাষ্ট্রে পর্যটকও যান না বেশি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, নাউরোতে প্রতি বছর গড়ে ১৬০ জন পর্যটক যান। ফলে দেশটিতে করোনা বিস্তারের সুযোগ নেই। তালিকায় থাকা বাকি দেশগুলোও সব প্রশান্ত মহাসাগর কিংবা ভারত মহাসাগরে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। শুধুমাত্র বিমানবন্দর বন্ধ করে দিয়েই দেশগুলো নিজেদের করোনা সংক্রমণ বন্ধ নিশ্চিত করতে পারছে।