এনআরসি ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়: বিজিবি প্রধান

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: সফর সংক্রান্ত বৈধ ডকুমেন্ট না থাকায় সীমান্ত অতিক্রম করে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় এ বছর কমপক্ষে ৩০০ বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। ভারত সফররত বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাফিনুল ইসলাম এ কথা বলেছেন রোববার। তবে ভারতের দিক থেকে বেশ কিছু বাংলাদেশিকে পুশব্যাক করা হচ্ছে বলে যে রিপোর্ট আছে, তা তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, এনআরসি হলো ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে রয়েছে চমৎকার সুসম্পর্ক। এ খবর দিয়েছে প্রভাবশালী অনলাইন দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া ও হিন্দুস্তান টাইমস। এতে আরো বলা হয়, ২৫ থেকে থেকে ৩০শে ডিসেম্বর ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সীমান্ত সহযোগিতা বিষয়ক ৪৯তম ডিজি পর্যায়ের কনফারেন্স হচ্ছে। এতে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের সঙ্গে জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশনে স্বাক্ষর করার পর সংবাদ সম্মেলন করেন মেজর জেনারেল শাফিনুল ইসলাম।

এতে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ মহাপরিচালক বিবেক জোহরি। সেখানে শাফিনুল ইসলাম বলেন, যারা সীমান্ত অতিক্রম করে আমরা তাদেরকে নিয়মিতভাবে আটক করি। এরা ওইসব বাংলাদেশি, যারা অসাবধানতাবশত অথবা কাজের উদ্দেশে ভারতে গিয়েছিলেন।

ভারত থেকে ‘অবৈধ’ অভিবাসীদের নিয়মিতভাবে পুশব্যাক করা হয় বাংলাদেশে এমন এক প্রশ্নেরও জবাব দেন তিনি। বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, যারাই অবৈধ উপায়ে সীমান্ত অতিক্রম করে আমরা নিয়মিতভাবে তাদেরকে আটক করি।

বিজিবি এবং বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের ৪৯তম বৈঠকে বিএসএফ ৬টি ইস্যু তুলে ধরে। তার মধ্যে অন্যতম ইন্ডিয়ান ইনসার্জেন্সি গ্রুপস (আইআইজিএস)-এর বিরুদ্ধে গৃহীত পদক্ষেপ এবং বিএসএফ সদস্য এমন কি ভারতীয় বেসামরিক ব্যক্তিদের ওপর বাংলাদেশি অপরাধীদের হামলা প্রতিরোধ। এতে গবাদিপশু, ভারতীয় ভুয়া মুদ্রা ও স্বর্ণ পাচারের মতো আন্তঃসীমান্ত অপরাধ প্রতিরোধে যৌথ প্রচেষ্টার বিষয়টি তুলে ধরে বিএসএফ। এ ছাড়া যেসব ইস্যু এতে আলোচিত হয় তার মধ্যে রয়েছে অবৈধ অভিবাসী, মানব পাচার, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বেড়া নির্মাণ, সীমান্ত লঙ্ঘন, অবৈধ উপায়ে সীমান্ত অতিক্রম, অপহরণ এবং বাংলাদেশ বাদে অন্য দেশ থেকে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের বিষয়। এ ছাড়া আলোচিত হয় সীমান্ত অবকাঠামো বিষয়ক ইস্যু। এর মধ্যে রয়েছে এক সারির সীমান্ত বেড়া নির্মাণ, আন্তর্জাতিক সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অবকাঠামোর কাজ ও নির্মাণের বিষয়।

ওদিকে বিজিবি মহাপরিচালক বলেছেন, নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) সৃষ্টি করা হলো ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয়। ‘এটা পুরোপুরিই ভারত সরকারের আভ্যন্তরীণ বিষয়’। এ সময় তার কাছে ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তবে তিনি এ প্রশ্নের কোনো উত্তর বা এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মুসলিম বাদে নির্যাতিত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে।

Advertisement