কবির – শিরিনের বদলী, তদন্তের মুখে রাব্বী, নতুন প্রেস মিনিষ্টার আসছেন আশিকুন্নবী

ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের দুইজন কর্মকর্তা ওয়েলফেয়ার সেক্রেটারী মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম কবির ও ট্রাভেল ডকুমেন্ট শাখার কর্মকর্তা শিরিন আখতারকে ৩১ জুলায়ের ভিতর ঢাকায় ফিরে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে যোগ দেয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য এই দুজন কর্মকর্তা তাদের ব্রিটেনে চাকুরীর মেয়াদ বিভিন্ন ভাবে বাড়িয়ে ছিলেন। ৮ জানুয়ারী ২০১৪ সালে পররষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ক্যাডার এম এম ইসলাম কবির যুক্তরাজ্যস্থ বাংলাদেশ মিশনে যোগ দেন।

২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসে তার ব্রিটেনে চাকুরির মেয়াদ শেষ হলেও ব্যাক্তিগত কারন দেখিয়ে তিনি ব্রিটেনে দায়িত্বরত থাকা জরুরী বলে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দেড় বছর অতিরিক্ত ছিলেন ।

এছাড়া এম এম ইসলাম কবিরের বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে। ট্রাভেল ডকুমেন্ট শাখার কর্মকর্তা শিরিন আখতার ৩১ অক্টোবর ২০১১ সালে ব্রিটেনে যোগ দেন।

জিপিও শাখার বিসিএস ক্যাডার শিরিন আখতার কিভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব নিয়ে ব্রিটেনে নিয়ম বহির্ভূতভাবে দীর্ঘ ৭ বছর ছিলেন সেটা নিয়ে খোদ হাই কমিশনে কর্মরতরাই বিস্মিতি ছিলেন।

শিরিন আখতারের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলা, সাধারন সেবা গ্রহনকারীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করাসহ সিন্ডিকেট করে বিভিন্ন ধরনের অন্যায় কাজের অভিযোগ ছিলো। এসব বিষয় নিয়ে ১২ জুন ব্রিটবাংলাসহ বাংলাদেশের শীর্ষ দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিনে সংবাদ প্রকাশ হলে তদন্তের মুখে পড়েন এই দুই কর্মকর্তা।
এছাড়া সম্প্রতি প্রবাসী মিডিয়া কর্মী হোসাইন তপুর সাথে উদ্ধৌত্যপূর্ন আচরন করেন হাই কমিশনের পাসপোর্ট শাখার কর্মকর্তা এ এফ এম ফজলে রাব্বী। তিনি অভিযোগকারী তপুকে বলে, আমি না চাইলে আপনি জীবনে পাসপোর্ট পাবেন না! তপু ঘটনাটির ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছাড়লে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন ও বিলেতের জনপ্রিয় সাপ্তাহিক জনমতে রিপোর্ট করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় সূত্রে জানা গেছে, রাব্বীর এই দম্ভোক্তিপূর্ন আচরনের তদন্ত চলছে।

এদিকে ব্রিটেনে প্রেস মিনিষ্টার হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে আসছেন আশিকুন্নবী চৌধুরী। বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার চীফ রিপোর্টার আশিকুন্নবীর নিয়োগের বিষয়টি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর টেবিলে রয়েছে।

পূর্বের নিউজের লিংক

https://britbangla24.com/news/42708

তবে খোজ নিয়ে জানা গেছে, আওয়ামীপন্থী সাংবাদিক হিসাবেই তিনি পরিচিত এবং বাসস এর চীফ রিপোর্টার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

Advertisement