প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয় দক্ষিণ কোরিয়া। তাই সব শঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে আজ শুক্রবার দেশটির রাজধানী সিউলেতে আয়োজিত হয় গণবিয়ের। এতে অংশ নেন কয়েক হাজার যুগল।
দক্ষিণ কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী গণবিয়ের অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয় সিউলের উত্তরপশ্চিমের গ্যাপিঅংয়ের চেয়ং শিম পিস ওয়ার্ল্ড সেন্টারে। এতে উপস্থিত ছিলেন ৩০ হাজার মানুষ।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এ বিয়ের পিঁড়িতে বসেছে অন্তত ছয় হাজার যুগল। দেশটির গণবিয়ের ইতিহাসে এই প্রথম এত যুগল বিয়ের পিড়িতে বসল।
করোনাভাইরাসের শঙ্কা উড়িয়ে দিলেও রয়টার্সের প্রকাশ করা ছবিগুলোতে বর-কনেকে দেখা গেছে মাস্ক পরিধান করতে। বিয়ের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে মাস্ক পরেছেন তারা। বরের পোশাক ছিল কালো, কনে পরেছিলেন সাদা গাউন। কিছু ছবিতে অবশ্য বর-কনেকে মাস্ক ছাড়া দেখা গেছে। তাদের ভাষ্য ভালোবাসার মানুষের চোখে সুন্দর দেখাতে মাস্ক ব্যবহার করেননি তারা।
লি কেঅন-সিওক নামে একজন রয়টার্সকে বলেছেন, ‘করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় আমি সাবধানতা হিসেবে মাস্ক পরেছি। কিন্তু অনুষ্ঠান মিস করিনি। আশীর্বাদের এ গণবিয়েতে অংশ নিতে পেরে আমি খুশি।’
অপরদিকে নগুসেন মিঅংগুয়েত ওয়ালেহেত নামে একজন কনে বলেন, ‘স্বামীর কাছে যেন সুন্দর লাগে, এ জন্য আমি মাস্ক পরিনি।’
শঙ্কা উড়িয়ে দিলেও গণ বিয়ের আয়োজনে রাখা হয়েছিল বাড়তি নিরাপত্তা। বর-বধূকে হাত ধুতে হয়েছে নির্দিষ্ট সময় পরপর। হল রুমে ঢোকার আগে শরীরের তাপমাত্রাও পরীক্ষা করা হয়েছিল সবার।
১৯৫৪ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার এ চার্চটি প্রতিষ্ঠা করে মুন নিজেকে ও স্ত্রীকে ‘মেসিয়াহ’ ঘোষণা করেছিলেন। ১৯৬১ সাল থেকে ২০০২ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তার অধীনেই এ গণবিয়ে হতো।