করোনায় অর্থনৈতিক মন্দা ২০০৯ সালের চেয়ে ভয়াবহ হতে পারে: আইএমএফ

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ‍করোনা ভাইরাসের চাপে চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন বৈশ্বিক অর্থনীতি। দেশে দেশে উৎপাদন, ব্যবসা বন্ধে প্রতিদিন সে চাপ বেড়ে চলেছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, ভাইরাসে অচল হয়ে পড়তে পারে পুরো বিশ্বের ইঞ্জিন। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) সতর্ক করেছে, ভাইরাসটিতে সৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা ২০০৯ সালের অর্থনৈতিক মন্দার চেয়ে বেশি ভয়াবহ হতে পারে। সংস্থাটির প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা সোমবার বলেন, করোনা মহামারীতে বৈশ্বিক অর্থনীতি চরম ক্ষতির সম্মুখীন। এ ক্ষতির পরিমাণ ২০০৯ সালের চেয়ে বেশি হতে পারে। এটি সামাল দিতে প্রয়োজন নজিরবিহীন পদক্ষেপ। এ খবর দিয়েছে দ্য স্ট্রেইট টাইমস।

সোমবারের সতর্কতায় বিশ্বের নিম্ন আয়ের দেশগুলোকে সহায়তা দিতে শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জর্জিয়েভা।
তিনি জানান, সংস্থাটি সর্বোচ্চ এক লাখ কোটি ডলার ঋণ দিতে সক্ষম। বলেন, আইএমএফ তাদের ১ লাখ কোটি ডলারের সবটুকুই ঋণ দিতে প্রস্তুত।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউন জারি হচ্ছে দেশে দেশে। এ অবস্থায় জি২০ দেশের অর্থমন্ত্রীদের সতর্ক করেছেন জর্জিয়েভা। বলেছেন, ২০২০ সালের পরিস্থিতি নেতিবাচক। এতে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময় যে অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল, অন্তত তেমন বা তার চেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ২০০৯ সালে বৈশ্বিক অর্থনীতি ০.৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছিল। কিন্তু সে সময় চীন ও ভারতের মতো শীর্ষ অর্থনীতিগুলো বাড়ন্ত অবস্থায় ছিল। অন্যদিকে, করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক ও মানবিক ক্ষতি গতবারের চেয়ে আরো বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, এতে মোট অর্থনীতি ১.৫ শতাংশ পেছাতে পারে। এর মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে নিম্ন আয়ের দেশগুলো। তাদের ব্যাপক আর্থিক সহায়তা, এমনকি ঋণ মওকুফের প্রয়োজনও পড়তে পারে। জর্জিয়েভা বলেন, করোনা মহামারীর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিনিয়োগকারীরা উঠতি বাজারগুলো থেকে ৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলার সরিয়ে নিয়েছে। ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পুজি বহির্গমনের ঘটনা এটি। প্রায় ৮০টি দেশ ইতিমধ্যে আইএমএফের কাছে ভাইরাস মোকাবিলায় জরুরি সহায়তার অনুরোধ করেছে।

Advertisement