করোনা: পাকিস্তান-ইরান সীমান্তে জরুরি অবস্থা

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ইরান-পাকিস্তান সীমান্তে জরুরি অবস্থা জারি করেছে পাকিস্তানের বেলুচিস্তান সরকার। ইরানের সঙ্গে এই প্রদেশের যেসব জেলা রয়েছে তার সবটাতে এই জরুরি অবস্থা অবিলম্বে কার্যকর করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী জাম কামাল আলিয়ানির সঙ্গে শনিবার যোগাযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। করোনা ভাইরাস কিভাবে পাকিস্তানে প্রবেশ ঠেকানো যায় তার উপায় নিয়ে আলোচনা করেন তারা। পাকিস্তানের সঙ্গে ইরানের রয়েছে স্পর্শকাতর সীমান্ত। এসব সীমান্তে সব রকম প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে আলিয়ানিকে নির্দেশ দেন ইমরান খান। অনলাইন ডন এবং খালিজ টাইমসে প্রকাশিত এক খবরে এ কথা বলা হয়েছে।

সরকারি সূত্রগুলো বলেছেন, প্রাদেশিক স্বাস্থ্য বিভাগ সীমান্ত শহর তাফতানে একটি ইমার্জেন্সি সেন্টার ও একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে।

তাফতানের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে এরই মধ্যে কাজ শুরু করেছেন দু’জন চিকিৎসক। স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, সাতজন চিকিৎসকের একটি টিমকে থার্মাল গানসহ শহরে মোতায়েন করা হয়েছে, যাতে তীর্থযাত্রী ও অন্যদের তারা তাৎক্ষণিকভাবে স্ক্রিনিং করতে পারেন। সূত্র আরো বলেছে, পাকিস্তানের জাতীয় স্বাস্থ্য বিষয়ক ইন্সটিটিউটের (এনআইএইচ) কিছু বিশেষজ্ঞ টিম বেলুচিস্তানে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তাদের কাজ হবে স্বাস্থ্য বিষয়ক স্টাফ ও চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেয়া।
ইরানে এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন ৫ জন। সেখানে কমপক্ষে ১৮ জনের দেহে পাওয়া গেছে এই ভাইরাস। ফলে ইরানে এর বিস্তার হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত কোনো করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া যায় নি। ফলে এক্ষেত্রে পাকিস্তান বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে। স্বাস্থ্য বিষয়ক পাকিস্তানের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, সন্দেহজনক যাত্রীদের চিকিৎসা দেয়ার জন্য তাফতানে একটি ১০০ শয্যাবিশিষ্ট অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপনের কাজ করছে প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এবং স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষ সহকারি ড. জাফর মির্জা এরই মধ্যে যোগাযোগ করেছেন বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। প্রাদেশিক সরকারকে তিনি সব রকম সহযোগিতা ও সাহায্য দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

ইরানের সঙ্গে যুক্ত সীমান্ত এলাকা যেমন গোয়াদার, তুরবাত, পাঞ্জগুর ও মাশকিলে পাঠানো হবে চিকিৎসকদের টিম। এনআইএইচের নির্বাহী পরিচালক মেজর জেনারেল ড. আমির ইকরাম বলেছেন, ইরানে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর কারণে ইসলামাবাদে বৈঠক হয়েছে। এতে সব পক্ষ উপস্থিত হয়েছিল। সময় না দিয়েই ইরানের কোম নগরীতে মারা গেছেন চার জন। পাকিস্তানে এই ভাইরাস প্রবেশ করতে পারে বলে আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।

Advertisement