করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে সক্রিয় প্রতারক চক্র : সতর্ক থাকার আহ্বান

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনে ব্যাপকভাবে প্রতারণা শুরু হয়েছে। ঘরে ঘরে নকল করোনা ভাইরাস পরীক্ষার যন্ত্রপাতি এবং হাত ধোয়ার নকল পন্য বিক্রি করে প্রতারকরা এরিমধ্যে অন্তত মিলিয়ন পাউন্ড হাতিয়ে নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়াও হলিডের অর্থ ফেরত,  সরকারী অনুদান, মর্গেজের সমস্যাসহ নানান অজুহাতে টেলিফোন, মোবাইল ট্যাক্সট এবং ইমেইলে জরুরী ভিত্তিতে ব্যাংক একাউন্টস সহ বিস্তারিত তথ্য হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

সিওভিআইডি১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সরকারী নানান তথ্যের সাথে নিচে প্রতারকদের নিজস্ব ওয়েব সাইট লিঙ্ক দিয়ে টেক্সট ম্যাসেজ এবং ইমেইল করছে প্রতারকরা।

প্রতারণার ফাঁদ হিসেবে সম্প্রতি যোগ হয়েছে, পুলিশের জরিমানা আদায়ের বিষয়টি। সরকারী লকডাউন অমান্যকারীদের জরিমানা আদায়ের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। লকডাউন অমান্যকারীদের ৬০ পাউন্ড প্রাথমিক জরিমানা আরোপ এবং তা ১৪ দিনের ভেতরে পরিশোধ করলে ৩০ পাউন্ডে নেমে আসবে। প্রথমবার জরিমানা আরোপের পর কেউ ঘর থেকে বের হলে, যতোবার ঘর থেকে বের ততোবার দ্বিগুন হারে জরিমানা আরোপ করবে পুলিশ। প্রয়োজনে লকডাউন নিয়ম অমান্যকারীকে গ্রেফতারও করতে পারবে পুলিশ। এছাড়া জরিমানা অর্থ পরিশোধ না করলে আদালতেও নিয়ে যাবে লকডাউন অমান্যকারী ব্যক্তিকে।

পুলিশের এই জরিমানা আরোপের বিষয়টি নিয়ে এবার  প্রতারণা শুরু হয়েছে। হয়তো কখনো কেউ ঘর থেকে বের হয়েছেন, যা পুলিশের চোখেও পড়েনি বা কখন বের হয়েছেন ভুলে গেছেন কিন্তু হঠাৎ দেখা যাবে পুলিশ বা হোম অফিসের পক্ষ থেকে মোবাইলে বা ইমেইলে ম্যাসেজ এসেছে যে, আপনি লকডাউন অমান্য করেছেন বলে আপনাকে তাড়াতাড়ি জরিমানা পরিশোধ করতে হবে।

প্রতারকরা ট্যাক্সট ম্যাসেজ বা ইমেইল পাঠিয়ে খুব দ্রুত জরিমানার অর্থ পরিশোধের জন্য তাগিদ দিয়ে থাকে। এক ধরনের প্যানিক তৈরি করে দ্রুত কাজ আদায় করে প্রতারকরা।

পুলিশের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, এ ধরনের ট্যাক্সট বা ইমেইল পাওয়ার সাথে সাথে ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্তে নেওয়ার জন্য। সরকারী কোনো জরিমানা পরিশোধের জন্য সাধারনত এভাবে তাগিদ দেওয়া হয় না। তবে নির্ধারিত একটি তারিখ ধার্য করে দেওয়া হয়।

টেলিফোনে কোনো ধরনের তথ্য বিশেষ করে জন্ম তারিখ, ব্যাঙ্কের তথ্য না দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মোবাইলে বা ইমেইলে কোনো লিঙ্কে চাপ দেওয়ার আগে বা কোনো ধরনের অর্থ পরিশোধের আগে ভালোভাবে যাচাই করার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। দরোজায় এসে কেউ কড়া নাড়লে বা কেউ চ্যারিটির জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে বলে দরোজায় কড়া নাড়লেও তাদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।

Advertisement