মোয়াজ্জেম সাজু কানাডা থেকে :: দিনব্যাপী এই বনভোজনে ছিল নানা আয়োজন।কানাডার মন্ট্রিয়ালের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন সিলেট জেলার অধিবাসীরা। কর্ম ব্যাস্ততার কারণে একে অপরের সাথে দেখা হয়না দির্ঘদিনেও।তাই সবার মধ্যে মেল বন্দন স্তাপন এবং পারিবারিক সম্পৃতি বজায় রাখতে প্রতি বছর বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করে সিলেট জেলা সমিতি ।এর ধারাবাহিতায় ২৩ জুলাই রোববার কিউবেকের সেন্ট পিলিপ পিকনিক স্পটে বনভোজনে সকল বয়সি মানুষে উপস্থিতিতে প্রানবন্ত হয়ে ওঠে বনভোজন স্পট। আনন্দ আর উল্লাস ছড়িয়ে পড়ে চারদিক পরিবারের সদস্যদের স্বত:স্ফুর্ত উপস্থিতিতে বনভোজনটি পারষ্পরিক স¤প্রীতির মিলনমেলায় পরিণত হয়।
শিশু-কিশোর ও বড়দের খেলাধূলা, অতীত স্মৃতি, কুশল বিনিময়, অনুভূতি প্রকাশ এবং উচ্ছাসমুখর আনন্দঘন পরিবেশে দিনটিকে সকলে উপভোগ করেন। এসময় প্রতিবছর এরকম আয়োজন করার দাবি প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের। বনভোজনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
বনভোজনে আলোচনা সভায় সিলেট সমিতির সভাপতি আব্দুল হাই ,বলেন প্রবাসে ব্যাস্ত থাকলে ও প্রবাসে বাংলাদেশিদের সুখ দুঃখে সব সময় এগিয়ে যায় সিলেট সমিতি।কানাডায় বসবাস করলেও দেশের সকল দিবস ঐক্যবদ্ধভাবে পালনের পাশাপাশি দেশে ঐতিহ্য কানাডায় তুলে ধরছে সিলেট সমিতি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পর থেকে। তিনি সবার সহযোগিতা চান এবং সকল বেদাবেধ ভুলে এক সাথে কাজ করার আহবান জানান।
সহ সভাপতির বক্ত্যেবে জয়নাল আবেদিন জামিল বলেন, প্রবাসে বসবাস করলে ও প্রিয় দেশ এবং দেশে মানুষের কথা সবসময় মনে পড়ে। দেশের জন্য সবসময় মন কাদে।এক টা সময় তিনি দেশে গিয়ে প্রিয় ইউনিয়ন বাসির কল্যানে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন জয়নাল আবেদিন জামিল।
আর বনভোজ সাধারণ সম্পাদ এনাম আহমেদ বলেন,প্রবাসে বসবাবকারী সবাইকে একদিনে এক জায়গায় নিয়ে আসার জন্য এই বনভোজনের আয়োজন।বনভোজন সফভাবে স¤পূর্ন করতে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদেও সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানের আরো উপস্থিত ছিলেন বনভোজন পরিচালনা পরিষদের করিম উল্লাহ্,আব্দুল হান্নান,তোফায়েল আহমেদ,ফারুক আহমেদ সিহাব উদ্দিন,আব্দুল সবুর, জয়নাল উদ্দিন,সামসুদ্দিন,রফিকুল হক দুর্লভ,মফজ্জিল হোসেন,মো মোস্তাহিদ আহমেদ মুকুল,সহ সিলেট সমিতির সকল নেত্রিবৃন্দ। আর সংঘটনের অনুস্টান শেষে বিজয়িদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।