কুসিক নির্বাচন:৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে জয়ী রিফাত

কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে টানা দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে হারিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত ৫০ হাজার ৩১০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্ক‍ু পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট। অর্থাৎ ৩৪৩ ভোটে হেরে গেছেন সাক্কু।এ ছাড়া অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার ঘোড়া প্রতীকে পেয়েছেন ২৯ হাজার ৯৯ ভোট।বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন কেন্দ্র থেকে শাহেদুন্নবী চৌধুরী এই ফলাফল ঘোষণা করেন।এবারের কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয়েছে। দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন ভোটারের মোট ১০৫টি কেন্দ্রে সুষ্ঠ ভোট গ্রহণের মাধ্যমে রিফাত নতুন মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।কুসিক নির্বাচন সুষ্ঠ‍ু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, সার্বিক দিক বিবেচনায় বলা যায়, কুমিল্লা সিটিতে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠ‍ু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকেও তেমন কোনো অভিযোগ আসেনি।এ সিটিতে (কুমিল্লা) প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। খুব বিরূপ মন্তব্যও পাওয়া যায়নি বলে জানান সিইসি।এর আগে উৎসবমুখর পরিবেশে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

কুমিল্লা সিটির পাশাপাশি পাঁচটি পৌরসভা, চারটি উপজেলা পরিষদ এবং দেড় শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল থেকেই ভোটাররা কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন। তবে কুমিল্লার বিভিন্ন কেন্দ্রের তথ্য থেকে জানা যায়, পুরুষের চাইতে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল বেশি।নির্বাচন চলাকালে কোথাও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।সারাদেশের দৃষ্টি ছিল কুসিক নির্বাচনের দিকে। কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশনের অধীনে প্রথম নির্বাচন এটি। তাই নির্বাচনে কোনো ধরনের ফাঁক রাখতে চায়নি কমিশন। যে কোনো নির্বাচনের তুলনায় এবার বেশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নারী ভোটার ছিল এক লাখ ১৭ হাজার ৯২, পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬ জন। আর দুজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার। মোট ১০৫টি কেন্দ্রের ৬৪০টি কক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।মেয়র পদে ৫ জন ছাড়াও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১১ জন ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

Advertisement