কোভিড-১৯ টেস্টিং কিট শিগগির চীন থেকে আসছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ‍পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আবদুল মোমেন বলেছেন, প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবেলায় বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চীন শিগগির একটি ভাড়া করা বিমানে করে ১০ হাজার টেস্টিং কিটস এবং ১০ হাজার প্রটেক্টিভ ইকুপমেন্ট পাঠাবে।

শনিবার রাজধানীতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি কথা বলেন। তিনি বলেন, চীন ইতোমধ্যেই আমাদের জন্য কিটস তৈরি এবং প্রটেক্টিভ ইকুপমেন্ট তৈরি করেছে। একটি ভাড়া করা বিমানে করে শিগগির এই সব সামগ্রী তারা বাংলাদেশে পাঠাবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার প্রাণঘাতি কোভিড-১৯ মোকাবেলায় বিপুল পরিমাণ টেস্টিং কিট এবং প্রটেক্টিভ ইকুপমেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাতে চীনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছিল।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই মুহূর্তে বিদেশ থেকে দেশে না আসতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রয়োজনীয় যে কোন বিষয়ে সহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন। তিনি কমপক্ষে ৩১ মার্চ পযর্ন্ত বাংলাদেশে না আসতে সকল প্রবাসী বাংলাদেশীর প্রতি অনুরোধ জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, করোনা ভাইরাস জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে না আসতে প্রবাসী বাংলাদেশীদের নিরুৎসাহিত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশে সকল বাংলাদেশ মিশন প্রধানকে নির্দেশ দিয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে আসার পর অবশ্যই প্রত্যেককে ১৪ দিনের জন্য সরকারি অথবা নিজস্ব কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ১০টি দেশ থেকে বাণিজ্যিক ফ্লাইট আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আজ মধ্যরাত থেকে ৩১ মার্চ পযর্ন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকবে। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ আজ সকালে এ বিষয়ে একটি নোটাম জারি করেছে।

এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে কোভিড -১৯ ছড়িয়ে পড়ায় কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমীরাত তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান, সিঙ্গাপুর ও ভারত থেকে ছেড়ে আসা কোন যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক বিমানকে বাংলাদেশের কোন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে দেয়া হবে না। এর আগে এই ১০টি দেশ করোনা ভাইরাস আতংকে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া কোন ফ্লাইট তাদের দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

সরকারি সূত্রে বলা হয়, এই ১০টি দেশের বাইরে যুক্তরাজ্য, ব্যাংকক, চীন এবং হংকং এর সঙ্গে বিমান চলাচল উন্মুক্ত থাকবে। বাংলাদেশ ৩১ মার্চ পযর্ন্ত একমাত্র যুক্তরাজ্য ছাড়া ইউরোপ থেকে আসা সকল ফ্লাইট বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

যুক্তরাজ্য থেকে আসা ফ্লাইট কেন এই নিষেধাজ্ঞায় পড়বে না, এমন এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা সমগ্র বিশ্ব বন্ধ করে দিতে পারি না। জরুরী প্রয়োজনে আমাদের কোন নাগরিককে নিয়ে আসার প্রয়োজন হতে পারে। পাশাপাশি তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের কূটনীতিকদের জন্য কয়েকটি রুট উন্মুক্ত রয়েছে। বাসস

Advertisement