গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আরেকটি মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিলেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারেক রহমান বলেছেন, এই স্বাধীনতা দিবসে আমাদেরকে আবারো একটি মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এ যুদ্ধ রুদ্ধ গণতন্ত্র মুক্ত করার যুদ্ধ।এ যুদ্ধ দেশে গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। এ যুদ্ধ কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সনকে কারামুক্ত করার যুদ্ধ।.এ যুদ্ধ মানুষের বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনার যুদ্ধ। এ যুদ্ধ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধান এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। সোমবার পূর্ব লন্ডনের দ্য রয়্যাল রিজেন্সি অডিটরিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তির বিকল্প নেই। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে হবে।গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হবে।


তারেক রহমান দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের একটি নির্দেশের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, কারো কোনো উস্কানি কিংবা প্রলোভনে না পড়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন চূড়ান্ত সফলতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এগিয়ে যাওয়ার পথে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি জনগণের সমর্থন আর নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক ঐক্য ও বিশ্বাস।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলনে কৌশলী পদক্ষেপে সতর্কভাবে এগিয়ে যেতে হবে যাতে অতীতের মতো আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অতীতের মতো কেউ প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ নিতে না পারে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালিক । সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদের পরিচালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ও কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. এম এ মালেক, বিএনপি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান, ব্যারিষ্টার নাসিরউদ্দিন আহমেদ অসীম এবং হুমায়ুন কবিরসহ অনেকে।

তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্র এখন কারারুদ্ধ।কারারুদ্ধ জনগণের স্বার্থের পক্ষে সাহসী কণ্ঠস্বর।গণতন্ত্র এবং খালেদা জিয়া এখন সমার্থক। তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া তবে স্বৈরাচারী সরকারের সঙ্গে আপোষ করেনি। দেশে বিদেশে সবাই দেখছে, বর্তমান সরকার আদালতকে প্রভাবিত করে কুটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে টালবাহানা করছে। বিরোধী দল ও মতের মানুষের ব্যাপারে নিম্ন আদালত কিংবা উচ্চ আদালতের ভূমিকার কারণে আদালতের প্রতি দেশবাসীর শ্রদ্ধা ও আস্থায় প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপির বিশ্বাস জনগণের শক্তিতে। তিনি বলেন, এ যাবৎকালে দেশ যতবার সংকটে পড়েছে, প্রতিবারই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিএনপিই অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে। দেশের জনগণ বিএনপির উপরই আস্থা রেখেছে। তাই জনগণের নিরাপত্তা বিধানে, দেশের কল্যানে বিএনপিকে কৌশলী পদক্ষেপে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, এ সরকার সারাদেশে শুধুমাত্র বিএনপির-ই ১৮ থেকে ২০ লাখ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ৭০ হাজারেরও বেশি মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
তারেক রহমান বলেন, বিশ্বের ইতিহাসে সকল স্বৈরাচারী সরকার নিজেদের দুর্নীতি-অপকর্ম-অরাজকতা-লুটপাট এবং অমানবিকতা থেকে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে নিতে ‘উন্নয়নের’ জিগির তুলে। ক্ষমতা দখলকারী পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আয়ুব খানের শাসনকালেও গণতন্ত্র ছিলোনা, মানবাধিকার ছিলোনা। জনগণের দৃষ্টি আড়াল করতে আয়ুব খান সারাদেশে ঢাকঢোল পিটিয়ে পালন করেছিলেন ‘উন্নয়নের দশক’। ঠিক একইধারায় এখন চলছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আয়ুব খানের মতোই এখন স্বাধীন বাংলাদেশের বর্তমান গণতন্ত্র বিরোধী সরকার সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের দিয়ে আয়ুব খানের মতো সারাদেশে উন্নয়নের মিছিল বের করে। তারেক রহমান প্রশ্ন করে বলেন, তাহলে পাকিস্তানের স্বৈরশাসক আয়ুব খানের ভূত কাদের ঘাড়ে চেপেছে? রাজাকারের ভূত কাদের ঘাড়ে চেপেছে? যাদের ঘরে রাজাকার বেয়াই তারাই এখন আয়ুব খানের উত্তরসূরী। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

Advertisement