‘চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে জিয়ার কবর সরানো হবে’

চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবর সরানো হবে বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হত্যা রোধে করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি এও বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে ‘দালিলিক প্রমাণ’ থাকায় জিয়ার মুক্তিযুদ্ধের খেতাবও বাতিল করা হবে।আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর গত নবম ও দশম জাতীয় সংসদের একাধিক বৈঠকে জাতীয় সংসদ এলাকা থেকে জিয়ার কবরসহ লুই আই কানের নকশাবহির্ভুত সব স্থাপনা সরানোর বিষয়ে কথা ওঠে।তখন বিএনপির পক্ষ থেকে প্রবল আপত্তি তোলা হয়। এরপর ওই আলোচনা একসময় স্তিমিত হয়ে পড়ে।সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক বক্তৃতায় বলেন, ওই কবরে জিয়ার লাশ নেই। এরপর আওয়ামী লীগ নেতাদের একই বক্তব্য এবং বিএনপি নেতাদের পাল্টা জবাবের মধ্যে সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের অনুষ্ঠানে এ প্রসঙ্গে কথা বলেন মন্ত্রিসভার প্রবীণতম সদস্য মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় নকশাবহির্ভুত শুধু জিয়ার কবরই নয়, আরও যত কবর আছে বা অন্যকিছু অবৈধ স্থাপনা, সব অপসারণ করতে হবে।‘কবর ঢাকায় থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই’ মন্তব্য করে মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী বলেন, জিয়ার লাশ কোথাও যদি থেকে থাকে, সেখানে গিয়ে তাকে সম্মান জানাতে পারে তার অনুসারীরা।প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেলও বলেন, চন্দ্রিমা উদ্যানের কবরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়ার ‘লাশ নেই’।তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের লাশ পাওয়া যায়নি। সেই কফিনের মধ্যে কী ছিল, মানুষ ছিল না অন্যকিছু ছিল, সেটা আল্লাহ মালুম… জানি না। একটা কাঠের বাক্স সেখানে দাফন করেছে। চন্দ্রিমা উদ্যানের কবরে কার লাশ, তা শনাক্তের কথা বলেন তিনি।মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম কেন্দ্রীয় সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের যৌথ আয়োজনে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস ও মুক্তিযুদ্ধের সাব সেক্টর কমান্ডার মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রমও বক্তব্য রাখেন।

Advertisement