জনসনের সমালোচনা দলচ্যুত লেবার মেয়র

ব্রিট বাংলা ডেস্ক : করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সমালোচনা করে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন বিরোধী লেবার পার্টির এক মেয়র। ডার্বিশায়ারের হ্যানোরের মেয়র শীলা ওকস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করে দলচ্যুত হলেন। শীলা ওকস লিখেছেন দুঃখিত, তিনি (জনসন) এটির (করোনা সংক্রমণ) পুরোপুরি প্রাপ্য এবং তিনি আমাদের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ প্রধানমন্ত্রী।
পরে শীলা ওকস অপ্রত্যাশিতভাবে ক্ষমা চেয়েও রেহাই পাননি। লেবার পার্টি তার হুইপ প্রত্যাহার করে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে। তবে একজন স্বতন্ত্র রাজনীতিবিদ হিসেবে পরবর্তী নির্বাচন অবধি তিনি তার আসনে বহাল থাকবেন। উল্লেখ্য, বামপন্থী বহু ট্রোলকারীর মধ্যে ওকস হলেন একজন, যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করেন।
অ্যাম্বার ভ্যালি লেবার গ্রুপের একজন মুখপাত্র বলেন, আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় কাউন্সিলর শীলা ওকসের মন্তব্যগুলো বিরক্তিকর ও ঘৃণাপূর্ণ বলে মনে করি। স্থানীয় মেয়র হিসাবে তিনি নগরকে প্রতিনিধিত্ব করার সাথে সাথে তার অরাজনৈতিকভাবে আচরণ করা উচিত ছিল, যা চলমান পরিস্থিতিতে স্পষ্টতই ঘটেনি।

আমরা এই ঘটনায় নিন্দা জানাই। আমরা এই ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত পুনরুদ্ধার কামনা করছি। তিনি ও তার পরিবারের প্রতি ভালবাসা এবং সংহতি জানাচ্ছি। আজকের গুড মর্নিং বৃটেনের হোস্ট পাইয়ার্স মরগান বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে সমস্ত লোক নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে এই মুহুর্তে ইতিবাচক মনে করতে পারেন না, যারা তাঁকে গালি দিতে চান, যদি আপনি এই মানসিকতার হনÑ তাহলে চুপ করুন। কেউ এটা শুনতে চায় না। কেউ বরিস জনসনের বিপরীতে ট্রোলিং শুনতে চান না। এটি বন্ধ করুন। আপনার চিন্তা করা উচিত লোকটি তার জীবনের জন্য লড়াই করছেন।
এছাড়া তিনি ভিএইচএস ফ্লেচারার সলিসিটরদের ইলকেস্টন অফিসে প্যারালিগ্যাল হিসাবে তার অবস্থান হারিয়েছেন। ভিএইচএস ফ্লেচার সলিসিটারদের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হেয়ানোরের মেয়র প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে গভীর আপত্তিজনক মন্তব্য করেছেন। কেবল প্রধানমন্ত্রীর পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবই নয় এই ভয়ঙ্কর ভাইরাস আক্রান্ত সকলের জন্যও এই জাতীয় পোস্টগুলি যে সঙ্কট সৃষ্টি করতে পারে সে সম্পর্কে আমরা তীব্র সচেতন। যদিও সেটা তার ব্যক্তিগত মত ছিল। কিন্তু তিনি যেহেতু এই ফার্মের একজন কর্মী তাই আমরা সমালোচনায় জড়িয়ে পড়েছিলাম। তিনি এখন আমাদের ফার্মের কর্মী নন। তার রাজনৈতিক জীবন ও উদ্দেশ্যের সঙ্গে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই।

Advertisement