টাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জন বিগস- নির্বাচিত হবার পর থেকেই দূর্নীতি এবং খারাপ তৎপরতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি

দীর্ঘ ১৮ মাসেও পুলিশ তদন্ত সম্পন্ন করতে না পারায় আমি হতাশ।

ব্রিটবাংলা ডেস্কঃটাওয়ার হ্যামলেটসের মেয়র জন বিগস তার বিবৃতিতে বলেন, নির্বাচিত হবার পর থেকেই দূর্নীতি এবং খারাপ তৎপরতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি এবং কাউন্সিলের সকল সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্টার জন্য কাজ করছি।

আলোচিত ঘটনাটি অতীতের খারাপ আচরনগুলোরই ধারাবাহিকতা এবং এসংক্রান্ত ঝুঁকি যে এখনো বিদ্যমান তাই আমাদের আরেকবার মনে করিয়ে দিলো।

মেয়র বলেন, অভিযোগ জানার পর আমি কাউন্সিলের সংশ্লিষ্ট কর্মতাদের বিষয়টি অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করি এবং তারা আমার নির্দেশনা মোতাবেক পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেন। কিন্তু দীর্ঘ ১৮ মাসেও পুলিশ তদন্ত সম্পন্ন করতে না পারায় আমি হতাশ।
বিবৃতিতে জন বিগস আরো জানান, লিডার অব দ্যা লেবার গ্রুপ হিসাবে প্ল্যানিং কমিটিতে বিভিন্ন পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং প্ল্যানিং প্রসেসে অতিরিক্ত মনোযোগ দিয়েছি। মেয়র বলেন, ঘটনাটি আমাদের আরেকবার মনে করিয়ে দিলো এখনো অনেক কাজ বাকী। তাই আগামী নির্বাচনটি হবে অতীতের বিশৃংখলায় ফিরে যাবার বিপরীতে লেবার পার্টির ভ্যালু এবং ডিসিপ্লিনের লড়াই।

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের বক্তব্য ২০১৫ সালে লিডারশীপ পরিবর্তনের পর থেকেই টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল স্বচ্ছতা এবং সুশাসনকে প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্চেছ। এই লক্ষ্য অর্জনে কাউন্সিল যে ৩টি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে আসছে এগুলো হচ্ছে হুইসালব্লোইং পলিসি (চাকুরী হারানোর ভয় ছাড়াই কাউন্সিল অফিসাররা যে কোন বেআইনী তৎপরতা প্রকাশ করতে পারবেন), সিদ্ধান্ত গ্রহনে স্বচ্ছতা এবং যে কোন ধরনের অভিযোগের বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্ত।

আলফা স্কয়ার এর প্ল্যানিং এপ্ল্যিকেশন বিবেচনার সময় কাউন্সিল বিন্দু পরিমান ছাড় দেয় নাই। ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে তাদের আবেদন স্ট্যাট্রেজিক ডেভেলাপমেন্ট কমিটিতে প্রত্যাখাত হয়। ভোটাভুটিকালে কমিটির সদস্য মোট ৮ জন কাউন্সিলারের মধ্যে ৬ জন কাউন্সিলারই তাদের আবেদনের বিপক্ষে ভোট দেন এবং ২ জন অনুপস্থিত ছিলেন।

এর আগে কাউন্সিল অফিসাররাও তাদের আবেদন প্রত্যাখানের জন্য সুপারিশ করেছিলেন। পরবর্তীতে এব্যাপারে অভিযোগ কাউন্সিলের নজরে আসার পর কাউন্সিলের সাথে সম্পর্কিত নয় এমন একটি স্বাধীন তদন্ত সংস্থাকে এব্যাপারে প্রমাণ সংগ্রহের দায়িত্ব দেই। পরবর্তীতে একজন খ্যাতিমান কিউসির পরামর্শে তাদের প্রাপ্ত তথ্য সিরিয়াস ফ্রড অফিসে পাঠানো হয়। সিরিয়াস ফ্রড অফিস আরো তদন্তের জন্য তা ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির কাছে রেফার করে। কাউন্সিল এখন এই তদন্তের ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছে। এছাড়া পুলিশের তদন্তকে ব্যাহত করতে পারে লিগ্যাল কাউন্সিলের এই পরিষ্কার পরামর্শের কারনে কাউন্সিল এই মুহুর্তে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত রয়েছে।

Advertisement