টিয়ার থ্রিতে যুক্ত হল ল্যাঙ্কারশায়ার : গ্রেটার ম্যানচেস্টার মেয়রের সঙ্গে মতভেদ কাটেনি

ব্রিটবাংলা ডেস্ক : স্থানীয় প্রশাসন এবং সরকারের মধ্যে সমঝোতা ব্যর্থ হলে গ্রেটার ম্যানচেস্টারে টিয়ার থ্রি আরোপের জন্যে প্রয়োজনে নিজে হস্তক্ষেপ করবেন বলে সতর্ক করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। টিয়ার থ্রি বা সর্বোচ্চ বিধি-নিষেধ আরোপের ফলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের যে ক্ষতি হবে, তা কটিয়ে উঠার জন্যে আরো বেশি আর্থিক সহযোগিতার দাবী করে আসছেন গ্রেটার ম্যানচেস্টারের মেয়র এন্ডি বার্নহ্যাম।
এদিকে লিভারপুল রিজিয়নের পর টিয়ার থ্রি বা সর্বোচ্চ বিধি-নিষেধ আরোপ হয়েছে ল্যাঙ্কারশায়ার কাউন্টিতে। বৃহস্পতিবার দিনভর আলোচনা শেষে টিয়ার থ্রি আরাপে রাজি হয় ল্যাঙ্কারশায়ার প্রশাসন। তবে এ জন্যে বাড়তি আর্থিক সুবিধাও দিচ্ছে সরকার। শনিবার থেকে লিভারপুলের মতো ল্যাঙ্কারশায়ারেও ঘরে কিংবা গার্ডেনে ভিন্ন পরিবারের দুজন মিশতে পারবে না। পাব এবং বার বন্ধ থাকবে। বিশেষ কারণ ছাড়া কেউ টিয়ার থ্রি এলাকা ত্যাগ বা প্রবেশ করতে পারবে না।

করোনা সংক্রমন ঠেকাতে সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ন এলাকা চিহ্নিত করে টিয়ার থ্রি আরোপ করতে চাচ্ছে সরকার। কিন্তু সরকারের টিয়ার থ্রি আরোপের বিপক্ষে এখনো অনঢ় অবস্থানে রয়েছেন গ্রেটার ম্যানচেস্টারের মেয়র এন্ডিবার্নহ্যাম এবং উত্তর ইংল্যান্ডের কিছু টোরি এমপি। করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় ব্যবসায়ীদের জন্যে সরকারের কাছ থেকে আরো বেশি অর্থ আদায়ের চেস্টা করে যাচ্ছেন তারা। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, টিয়ার থ্রি আরোপের জন্যে প্রয়োজনে তিনি নিজে হস্তক্ষেপ করবেন।

নটিংহ্যামসহ অন্যান্য যেসব শহরে সংক্রমন এবং হাসপাতাল ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে সেই সব শহরে খুব শিঘ্রই টিয়ার থ্রি আরোপ করা হবে। এদিকে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে লন্ডনের প্রায় ৯ মিলিয়ন মানুষের আরোপিত হবে টিয়ার টু-বিধি নিষেধ। এর ফলে ঘরে কিংবা পাব অথবা রেস্টুরেন্টে ভিন্ন পরিবারের কেউ মিশতে পারবে না। তবে বাইরে রুল অব সিক্স মেনে সামাজিকতা করা যাবে। উল্লেখ্য ব্রিটেনে গত চব্বিশ ঘন্টায় আরো ১৫ হাজার ৬শ ৫০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আর গত চব্বিশ ঘন্টায় করোনায় মৃত হয়েছে আরো ১শ ৩৬ জনের।

Advertisement