দেশজুড়ে সংকট, পাকিস্তান কি টিকবে?

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: পাকিস্তানে নানা সমস্যা নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। সরকারবিরোধী হাজারো নেতাকর্মী-সমর্থক এ বিক্ষোভে অংশ নেন। সম্প্রতি পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্য দিয়ে বিরোধী দলগুলোর এই কর্মসূচি শুরু হয়। পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (পিডিএম) ব্যানারে দেশজুড়ে এ বিক্ষোভ সমাবেশ চলছে। দেশটির ১১টি বড় দল মিলে গত মাসে এই জোট গঠন করে। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), জমিয়তে ওলামা ইসলাম-ফজল দলও (জেইউআই-এফ) রয়েছে এই জোটে। বিরোধীদের দাবি, দেশটির চারদিক গ্রাস করেছে দুর্নীতি। সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়ার ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা। এ ছাড়াও বিচার বিভাগ ও সন্ত্রাস নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এই মুহূর্তে প্রশ্নটি হলো পাকিস্তান কি একটি কার্যকর রাষ্ট্র হিসেবে টিকে থাকতে পারবে? এই প্রশ্নের উত্তর অনেক উপাদান দিয়ে নির্ধারিত করা যায়। দেশটির অভ্যন্তরীণ উপাদানগুলো যা পাকিস্তানের ভাগ্য সমাধান করতে পারে; তা আবার দেশটির ‘দ্বি-রাষ্ট্র’র ধারণা থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যায়। আর এই ধারণাটিই হলো পাকিস্তানের ভারতবিদ্বেষমূলক আখ্যানের ভিত্তি। এ ছাড়া পাকিস্তানের উচিত দেশটির সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্ধারিতভাবে সংস্কার করা। রাজনৈতিক, আর্থিক বা সামাজিক যাই হোক না কেন; যেকোনো বিষয়ে হস্তক্ষেপ থেকে তাদের (সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থা) বিরত রাখা উচিত। সেনাসদস্যদের নেওয়া সব উদ্যোগুলোকে জাতীয়করণ করা উচিত।

বাহ্যিকভাবে পাকিস্তানকে তার দখলে থাকা কাশ্মীর ও জিবি (গিলগিট-বালতিস্তান) অধিকৃত অঞ্চলগুলোকে ফিরিয়ে দিয়ে ভারতের সঙ্গে পারস্পরিক নীতি ঠিক করতে হবে। সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসীদের সুরক্ষিত আশ্রয়স্থল দান করা থেকে বিরত থাকতে হবে। জঙ্গিদের জন্য কোচিং শিবির স্থাপনা ভেঙে ফেলতে হবে। আর্থিক সহায়তা বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসের অবকাঠামোও ভেঙে ফেলতে হবে।

যদি তা না হয় তাহলে পাকিস্তান মুসলিম লীগের (নওয়াজ) সহসভাপতি মরিয়ম নওয়াজের ‘ভোট কো ইজ্জত কর’ (ভোটকে সম্মান করুন) স্লোগানটি পাকিস্তানে গণতন্ত্রের শাসন পরিচালনায় প্রতিষ্ঠিত হবে। এরপর সেখানে অতিরিক্ত বিশৃঙ্খলা হতে পারে। আঞ্চলিক শান্তির জন্য উদ্বেগের কারণ- এমন অতিরিক্ত বিশৃঙ্খলা হতে পারে সেখানে।

Advertisement