দ্বিতীয় দফায় করোনা নিন্ত্রনে কঠোর নিয়ম আরোপ হবে পুরো ইংল্যান্ডে

ব্রিকবাংলা ডেস্ক : করোনা মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফেরা কবে সম্ভব হবে তা অনুমান করাই এখন কঠিন হয়ে পড়েছে। দ্বিতীয় দফায় করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয়ভাবে কঠোর লডাউন আরোপের মাধ্যমে চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার। এরি অংশ হিসেবে বৃটেনে আরো প্রায় তিন মিলিয়নের বেশি মানুষ আগামী মঙ্গলবার থেকে নতুন করে কঠোর লকডাউনের মুখে পড়তে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার থেকে  মার্সিসাইড, ল্যাঙ্কারশায়ার, ওয়েস্ট ইয়র্কশায়া এবং মিডল্যান্ডসের কিছু এলাকায় ঘরে কিংবা বাগানে ভিন্ন বাড়ির কারো সঙ্গে দেখা করা যাবে না। পাব এবং রেস্টুরেন্ট বন্ধ করতে হবে রাত ১০টায়। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করা যাবে না। তবে কাজে যেতে পারবেন। একই নিয়ম শুক্রবার থেকে আরোপ করা হয়েছে উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের বেশ কিছু এলাকা।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, তিনি জাতীয়ভাবে লকডাউন চান না। স্কুল এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠার খোলা রাখতে তিনি বদ্ধ পরিকর। তবে প্রধানমন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন, দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমনের ব্যাপকতা ঠেকাতে/ আগামী কয়েক সপ্তাহের ভেতরে পুরো ইংল্যান্ডে কঠোর লকডাউন আরোপের বিষয়টি পর্যালোচনা করছে সরকার।
শুক্রবার করোনার ভ্যাকসিন আবিস্কারের প্রক্রিয়া দেখতে অক্সফোর্ডে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এসব কথা বলেন। ভ্যাকসিন আবিস্কারে সফলতা আসার আগে করোনা সংক্রমন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আরো কঠোর লকডাউন আরোপের পক্ষে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
ইংল্যান্ডে করোনায় অর্থনৈতিক ক্ষতি কাঠিয়ে উঠতে ইট আউট এবং হেল্প আউটের স্কীম চালু করেছিল সরকার। পাশাপাশি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে ফেরার তাগিদ দিয়েছিল। কিন্তু এবার দ্বিতীয় দফা করোনার বিস্তার ঠেকাতে হসপিটালিটি সেক্টরে রাত ১০ টার থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কার্ফিউ জারি করা হতে পারে। তবে খোলা থাকবে স্কুল এবং অফিসপাড়া।
এদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইংল্যান্ড স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসে আলাদা আলাদা পরিকল্পনা থাকলেও স্কটল্যান্ড এবং ওয়েলসের ফার্স্ট মিনিষ্টার জরুরী ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শনি অথবা রোববার তারা বৈঠকে বসতে পারেন বলেও জানা গেছে।

এদিকে লেবার লিডার স্যার কিয়ার স্টারমার বলেছেন, টেস্টিং সমস্যার সমাধান করে সবাই মিলে করোনার সংক্রমন ঠেকানোর চেস্টা করতে হবে। আর এক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি।

তবে করোনার সংক্রমন আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে থাকলেও কিছু মানুষ এখনো স্বাস্থ্যবিধির উপেক্ষা করে নিজের মতো আনন্দ উপভোগ করে যাচ্ছেন। যদিও শুক্রবার গত চব্বিশ ঘন্টায় বৃটেনে করোনায় আরো ৪ হাজার ৩শ ২২ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে বৃটেনে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯শ ৩৬ জনে গিয়ে পৌঁছাল। এছাড়া করোনায় মৃত্যু হয়েছে আরো ২৭ জনের। এ নিয়ে সরকারের নতুন হিসেব অনুযায়ী করোনায় বৃটেনে মৃতের সংখ্যা ৪১ হাজার ৭শ ৩২ জনে গিয়ে পৌঁছাল।

Advertisement