জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে চুড়ান্ত শুনানি ২ মাস পর করা হবে বলে আদেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ। ২ মাস পর শুনানির উদ্যোগ না নিলে মামলা খারিজ করা হবে বলেও আদেশে বলা হয়।মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আপিল বিভাগে শুনানিতে রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর।২০০৮ সালে ৩৮টি দলের সঙ্গে আগের সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী জামায়াতে ইসলামীকেও নিববন্ধন দেয় ইসি। জামায়াতের নিবন্ধন চ্যালেঞ্জ করে তরিকত ফেডারেশনের সেক্রেটারি সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ জন রিট করেন। সেই রিটের চূড়ান্ত রায়ে ২০১৩ হাইকোর্টে বৃহত্তর বেঞ্চ জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে দেয়।পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেন, জামায়াতের নিবন্ধন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।এ রায়ের ভিত্তিতে ২০১৮ সালে ইসি দলটির নিবন্ধন চূড়ান্তভাবে বাতিল করে। এ নিয়ে আপিল বিভাগে যায় জামায়াত।সরকার বার বার বললেও রিটের চূড়ান্ত শুনানি আর হয়নি আপিল বিভাগে। অবশেষে ১৬ জানুয়ারি ২৫ রিটকারি চেম্বার আদালতে যান মামলাটির চূড়ান্ত শুনানি করার আবেদন নিয়ে। যা আজ মঙ্গলবার নির্ধারিত ছিল।আজ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৩ সদস্যের আপিল বেঞ্চে শুরুতেই সময় চায় জামায়াত। পরে আপিল বিভাগে ২ মাস পর শুনানির দিন ধার্য করেন। তবে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, ২ মাস পর শুনানি না করলে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হবে।তবে জামায়াতে ইসলামীর আইনজীবী বলছেন, তাদের আইনজীবী সময় পাচ্ছেন না বলে শুনানি করতে পারছেন না। এবার শুনানী করবেন।
নিবন্ধন অবৈধ: আপিল প্রস্তুতিতে দুমাস সময় পেল জামায়াত
Advertisement