ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন বলেছেন, আমি যদি আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হই, তাহলে একদিকে আপনাদের অধিকারের আন্দোলন চালিয়ে যাব। অন্যদিকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির মাধ্যমে আমাদের কাজ সম্পূর্ণ করবো।
আ্জ শনিবার বেলা পৌনে ১টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পাশে কলেজিয়েট স্কুলের সামনে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর আগে তিনি একথা বলেন।
ইশরাক ভোটারদের উদ্যেশে বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ময়লা আবর্জনার স্তুপ হয়ে আছে। সেখান থেকে নানা রকম রোগ জীবাণু সৃষ্টিসহ মশা, পোকার বিস্তার ঘটছে। এসব স্থানে আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে রাস্তাঘাট পরিষ্কার করবো। প্রিয় ঢাকা শহরকে একটি বাসযোগ্য নগরী গড়ে তুলব। নিরাপদ পানির লাইনের ব্যাবস্থা করবো। নিরাপদ পানির জন্য সঞ্চালন লাইনের ব্যাবস্থা করবো।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের-এর পাশে বাটা শো-রুম এর সামনে থেকে দিনের কর্মসুচি শুরু করে, পর্যায়ক্রমে ৩২ ও ৩৩ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও প্রচারণা করে বংশাল থানায় এসে শেষ করবেন।
এসময় মেয়র প্রার্থী বলেন, আমাকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও এই দলের সকল নেতৃবৃন্দ সর্বসম্মতভাবে মেয়র পদে মনোনয়ন দিয়েছেন। তারা আমাকে একটি গুরু দায়িত্ব দিয়েছেন। জনগণের অধিকার জনগণকে ফিরিয়ে দেওয়ার, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার যে আন্দোলন সংগ্রামে আমরা রয়েছি আমি সেখানে যেন বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে পারি। তিনি বলেন, আমি আপনাদেরকে বলতে চাই গত নয় বছরে ঢাকার পরিস্থিতি কোন দিকে গিয়েছে আপনারা ভালো করেই জানেন। আমি গতকাল যাত্রাবাড়ী, কদমতলী ও শ্যামপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি। সেখানে আমি যে নোংরা আবর্জনা মত পরিস্থিতি দেখেছি সেটা মানুষের বসবাস যোগ্য নয়। শুধু যাত্রাবাড়ী এবং শ্যামপুরে নয় পুরো ঢাকা চিত্রই এক।
তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন বিশ্বের দূষিত নগরীর যতগুলো সূচক রয়েছে, সবগুলোতেই ঢাকা এক নম্বরে। সব নেগেটিভ বিষয়গুলোতে আমরা এক নম্বরে রয়েছি। আমরা এই যে একটা পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছি তার কোন কার্যকরী পদক্ষেপ দেখতে পাই নাই। কারণ এই সরকার যেহেতু সরাসরি জনগনের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসেনি তাই তাদের জনগণের প্রতি এবং শহরের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। সম্প্রতি অতীতে যারা মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের বেলায় একই কথা প্রযোজ্য। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিএনপি নেতা মীর সরাফত আলী সপু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।