ব্রিটবাংলা ডেস্ক : ব্রিটেনের দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিন বছর দায়িত্ব পালনের পর ব্রেক্সিট ইস্যুকে কেন্দ্র করে অবশেষে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরিজা মে। শুক্রবার সকালে কনজারভেটিভ পার্টির ব্যাকব্যাঞ্চ ১২২ কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে স্বাক্ষাতের পর টেন ডাউনিং স্ট্রীটের সামনে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি। আগামী ৭ জুন টোরি লিডার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন থেরিজা মে। তবে পরবর্তী লিডার নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার আগে টোরি পার্টির ব্যাকব্যাঞ্চ কমিটির চেয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী থেরিজা মে। এই বৈঠকের পরেই তিনি টেন ডাউনিং স্ট্রীটের সামনে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণে কনজারভেটিভ পার্টির লিডার পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ভাষণ শেষ করে কেঁদে কেঁদে টেন ডাউনিং স্্রীটের প্রবেশ করেন থেরিজা মে।
ব্রেক্সিট ডিল নিয়ে দলীয় এমপিদের সঙ্গে মতপার্থক্যের জের ধরেই পদত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী থেরিজা মে। প্রধানমন্ত্রীর ব্রেক্সিট ডিল পার্লামেন্টে তিনবার প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম মাসের প্রথম সপ্তাহে চতুর্থবারের মতো নতুন ডিল পার্লামেন্টে উত্থাপনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। তবে নতুন ডিলের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে বুধবার রাতে পদত্যাগ করেন কনজারভেটিভ পার্টির হাউস অব কমনন্সের লিডার এন্ড্রিয়া লেডসাম। এমনকি নতুন ডিলটি আজকে প্রকাশ করারও কথা ছিল। কিন্তু এন্ড্রিয়া লেডসামের পদত্যাগের পর বিল প্রকাশের তারিখ পেছানো হয়। অন্যদিকে অনিশ্চিত হয়ে যায় পার্লামেন্টে উত্থাপনের তারিখও। এদিকে তিন দফায় তারিখ পরিবর্তনের পর আগামী ৩১শে অক্টোবর ব্রেক্সিটের নতুন তারিখ নির্ধারণ হয়েছে। এর ভেতরে ইইউর কাছে নতুন ডিল উপস্থাপন করতে হবে ব্রিটিশ সরকারকে। আর এই নতুন ডিল নিয়েই কাজ করছিলেন প্রধানমন্ত্রী থেরিজা মে। এ নিয়ে লেবারের সঙ্গে প্রায় দু’ সপ্তাহ বৈঠক করেছে সরকার। লেবার লিডার জেরেমি করবিন এবং প্রধানমন্ত্রীর থেরিজা মে’র মধ্যে একক বৈঠক হয়েছে বেশ কয়েকবার। তবে এ থেকে প্রধানমন্ত্রী কিছুই অর্জন করতে পারেননি।
২০১৬ সালে ইইউ রেফারেন্ডামে লিভ ক্যাম্পেইন জয়ী হওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামনের পদত্যাগের পর তৎকালিন হোম সেক্রেটারী এবং রিমেইন ক্যাম্পেইনার থেরিজা মে দলীয় লিডার নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন।
পদত্যাগের কথা বলে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী থেরিজা মে
Advertisement