পরিচয় শনাক্তে নিহতদের ডিএনএ পরীক্ষা হবে

সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে নিহত ৪৯ জনের মধ্যে ১৫ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। বাকিদের পরিচয় শনাক্তে আগামীকাল সোমবার থেকে স্বজনদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন।রোববার (৫ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এ তথ্য জানান তিনি।ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‍’আগুনে নিহতদের শরীর বিকৃত হয়ে যাওয়ার কারণে অনেকের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। স্বজনেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১৫ জনকে তাদের স্বজন বলে নিশ্চিত করেছেন। বাকিদের পরিচয় শনাক্ত করতে সোমবার থেকে স্বজনদের ডিএনএ সংগ্রহ করা হবে।’

নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন কুমিরা ফায়ার স্টেশনের মনিরুজ্জামান (৩২) ও রানা মিয়া (২৪), একই উপজেলার চারিয়ার নাপুরা এলাকার মাহমুদুর রহমানের ছেলে মো. মহিউদ্দীন (২২), ভোলা জেলার হাবিবুর রহমান (২৬) ও রবিউল আলম (১৯), মমিনুল হক (২৪), তোফায়ল আহমেদ (২২), আলাউদ্দিন (৩৫) মো. সুমন (২৮) মো ইব্রাহিম (২৭) মো. শাকিল (২২), নিপন চাকমা (৪৫) এবং আফজাল হোসেন (২০)।চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘৪৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছি। ৪১ জনের মরদেহ চমেক হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৯০ জনের বেশি। গুরুতর দগ্ধ তিনজনকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে ১৫ জন, জেনারেল হাসপাতালে ৬ জনকে ভর্তি করা হয়েছে।গতকাল শনিবার (৪ জুন) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নেভাতে যান। ওই সময়ই সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের আরও অনেকগুলো ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণে কনটেইনার ডিপোর আশপাশের তিন থেকে চার কিলোমিটার এলাকায় ব্যাপক কম্পনের সৃষ্টি হয়। মসজিদ ও আশপাশের শতাধিক ঘরবাড়ির জানালার কাচ ভেঙে পড়ে। কনটেইনারে রাসায়নিক দ্রব্য থাকার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।

Advertisement