ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: পশ্চিমবঙ্গে ভোট যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা। বিধানসভার আসন কে বেশি পাবে? তৃণমূল নাকি বিজেপি। বিধানসভা নির্বাচনে একঝাঁক টলি তারকাকে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল। এবার একই পথে হাঁটলো বিজেপিও। যশ দাশগুপ্ত, অঞ্জনা বসু, তনুশ্রী চক্রবর্তীদের মতো তারকাদের দলে নিয়েছিল গেরুয়া শিবির।
রোববার বিধানসভা ভোটের তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে বিজেপি। দলটির সদর দফতর থেকে এদিন প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। আর প্রত্যাশা মতোই এবারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকায় বিরাট চমক দিয়েছে বিজেপি। সংসদভবন থেকে যেমন বিধানসভা নির্বাচনে নামানো হয়েছে একাধিক সাংসদকে তেমনই প্রার্থী তালিকায় রয়েছে একঝাঁক তারকা মুখ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক তারকাকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিলেন। সায়নী ঘোষ, কাঞ্চন মল্লিক, রাজ চক্রবর্তী, লাভলি মৈত্রদের বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। আর এবার মাছের তেলে মাছ ভাজলো বিজেপিও। তারকাদের বিরুদ্ধে তারকাদের লড়াই হবে একাধিক কেন্দ্রে।
চণ্ডীপুরে তারকা প্রার্থী যুব তৃণমূলের সহ-সভাপতি সোহম চক্রবর্তী। এবার চণ্ডীপুরে তারকা সোহমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আরেক তারকাকে বেছে নিলো বিজেপি। চণ্ডীপুরে বিজেপি প্রার্থী যশ দাশগুপ্ত। কিছুদিন আগেই তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
অন্যদিকে, বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী পায়েল সরকার। সেখানে তৃণমূলের রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বেন তিনি। সোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী তারকা লাভলি মৈত্র। তিনিও কিছুদিন আগেই তৃমমূলে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেও বিজেপি তারকা বনাম তারকা লড়াইয়ে বিশ্বাস রাখলো। লাভলি মৈত্রের বিরুদ্ধে লড়বেন বিজেপির প্রার্থী তথা অভিনেত্রী অঞ্জনা দে।
হাওড়ার শ্যামপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী। তবে তার বিরুদ্ধে কোনো তারকা নেই। তনুশ্রীর বিপরীতে রয়েছেন তৃণমূলের কালীপদ মণ্ডল।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম নিউজ এইট্টিন এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, পায়েল সরকারের মতো টলিউডের তারকারা।
বিজেপির বরাতে বলা হয়, এবারের তালিকায় এখনো নাম না থাকাদের পরের দফার ভোটের তালিকায় থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। সেই তালিকায় থাকতে পারেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রনীল ঘোষরা ও বনি সেনগুপ্তরা।