ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে সর্বোচ্চ ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাদের এই দণ্ড দেওয়া হয়।
এছাড়া অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের আরেক ধারায় তাদের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দুই ধারার সাজা একই সঙ্গে চলবে।
সোমবার ঢাকা মহানগরের ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ এই রায় দেন।
রায় ঘোষণার আগে পাপিয়া ও সুমনকে আদালতের এজলাসে তোলা হয়। রায় পড়ার সময় পাপিয়া নীরব ছিলেন। বিচারক যখন তাদের কারাদণ্ডের আদেশ দেন তখন পাপিয়া কান্নায় ভেঙে পড়েন।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ পর্যালোচনা করলে পাপিয়া ও তার স্বামীকে রাজনৈতিক কর্মী বলা যায় না। কারণ একজন রাজনৈতিক কর্মীর বাসায় অস্ত্র, গুলি এবং ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা পাওয়া যাওয়া খুবই দুঃখজনক। এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মী দেশ ও জাতির জন্য অকল্যাণকর।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেশত্যাগের সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
গ্রেফতারের পর ওইদিন রাতেই নরসিংদীর বাসায় এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি হোটেল ওয়েস্টিনে পাপিয়ার নামে বুকিং করা বিলাসবহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটে অভিযান চালানো হয়।
এছাড়া পাপিয়ার ইন্দিরা রোডের ফ্ল্যাট থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, পিস্তলের ২০ রাউন্ড গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৩টি চেক, ৫টি পাসপোর্ট, বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের এটিএম কার্ড উদ্ধার করে র্যাব।