পাসপোর্ট অফিসে জট অপেক্ষায় আড়াই লাখ গ্রাহক

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়েছে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরে। গত ১ মাস ২০ দিনে দেশের বিভিন্ন পাসপোর্ট অফিসে কমপক্ষে আড়াই লাখ আবেদন জমা পড়েছে। এরমধ্যে রয়েছে প্রবাসীদের আবেদনও। ৩০ ভাগ আবেদন রয়েছে অনলাইন মাধ্যমে। অনেক গ্রাহক আবেদন করেছেন বহুদিন আগে। কিন্তু তারা যথা সময়ে পাসপোর্ট হাতে পাননি। এরই মধ্যে থাবা মেলেছে করোনা ভাইরাস। দেশে ছুটি ঘোষণা করা হয়।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সবাইকে ঘরে থাকার পরামর্শ ও নির্দেশনা দেয়া হয়। এ অবস্থায় তাদের পাসপোর্ট হাতে পাওয়া ঝুলে আছে। গত মার্চ মাসে সরকারি ছুটির কারনে বন্ধ হয়ে যায় পাসপোর্ট অফিস। এ সময়ে বন্ধ করে দেয়া হয় অনলাইনে আবেদন করাও। যে সব পাসপোর্ট করোনা সংকটের আগেই গ্রাহকদের দেয়ার কথা ছিল অফিস বন্ধ হয়ে যাত্তয়াও তা আর দেয়া হয়নি। এতে করে নতুন ও আগের করা আবেদনের প্রায় আড়াই লাখ পাসপোর্ট আটকা পড়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাসপোর্ট গ্রাহকদের হাতে তুলে দেয়া ও নতুন পাসপোর্ট তৈরিতে এমন জট এর আগে কখনো হয়নি। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আবেদনকৃত পাসপোর্ট দেয়া সম্ভব নয়। কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনা কাটিয়ে উঠার পর দ্রুত এ জট কমানোর চেষ্টা করা হবে। বর্তমানে দিনে ২০ হাজার পাসপোর্ট প্রিন্ট দেয়া যায়। সংকট কাটাতে প্রিন্ট মেশিনের সংখ্যাও বাড়ানো হবে।

এ বিষয়ে ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ মানবজমিনকে জানান, প্রাণঘাতী করোনায় পাসপোর্ট অধিদপ্তরে কাজের গতি শ্লথ হয়েছে। আমাদের কর্মীরা সবাই এখন অফিস করছে না। তবে সংকট দ্রুত কাটিয়ে উঠা যাবে। তিনি জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রিন্ট করে কুরিয়ার বা ডাক বিভাগের মাধ্যমে পাঠানো সম্ভব না। এই মুহুর্তে আমরা জরুরি পাসপোর্টগুলো প্রিন্ট করে দিচ্ছি। তবে সেটা অতি জরুরি হলেই একমাত্র দিচ্ছি। দেশের বাইরের মিশনগুলোতেও আমরা কিছু পাসপোর্ট পাঠিয়েছি। কাজ তো সব জায়গায়ই বন্ধ। যারা পাসপোর্ট পাননি তারা অবশ্যই পাসপোর্ট পাবেন। প্রতিদিন ২০ হাজার পাসপোর্ট প্রিন্ট করা সম্ভব। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আমরা তা করবো। শুধু পরিস্থিতির ত্তপর নজর রাখা হচ্ছে। সব কিছু স্বাভাবিক হলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই সারাদেশের এই পাসপোর্ট প্রিন্ট করা সম্ভব হবে।

Advertisement