ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে বাধা সৃষ্টির কারণে পেরুর প্রেসিডেন্ট মার্টিন ভিজকারা’র বিরুদ্ধে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করেছে পেরু কংগ্রেস। এই প্রক্রিয়া শুরুর করার পক্ষে ভোট পড়েছে ৬৫টি। বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৩৬টি। নৈতিক অক্ষমতার অভিযোগে প্রেসিডেন্ট ভিজকারাকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে কিনা এখন এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে বিতর্কে মিলিত হবেন এমপিরা। সরকারি তহবিলের অপব্যবহার এবং পরে তা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হচ্ছে প্রেসিডেন্টকে। ভিজকারার বয়স ৫৭ বছর। তিনি কোনো অন্যায় করেননি বলে দাবি করেছে। উল্টো তিনি অভিযোগ করেছেন, তার বিরুদ্ধে কংগ্রেসে অভিশংসন প্রক্রিয়া হলো রাজনৈতিক অভ্যুত্থান।
এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
সরকারি অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগ ধামাচাপা দেয়ার বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ভিজকারার একটি অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়। এই অডিও রেকর্ড কংগ্রেস প্রধান ম্যানুয়েল মেরিনোর হাতে পৌঁছার পর শুক্রবার কংগ্রেসের অধিবেশন আহ্বান করা হয়। প্রেসিডেন্ট ভিজকারা ও সরকারি কর্মকর্তাদের ওই রেকর্ডিংয়ে কথা বলতে শোনা যায়। তার অফিস খুব কম পরিচিত একজন গায়ক রিচার্ড সিসনেরোসকে ভাড়া করেছিল। এ বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তিনি নির্দেশ দেন ওই কর্মকর্তাদের। সিসনারোসকে ৪৯ হাজার ৫০০ ডলার দেয়া হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। যখন করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে দেশের অর্থনীতি কঠিন অবস্থায়, সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে, তখন সরকারি অর্থের এমন অপব্যবহারের অভিযোগ তোলেন বিরোধী দলীয় নেতারা।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত পেরুতে করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন কমপক্ষে ৩০ হাজার মানুষ। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুহারের যেসব দেশ আছে তার মধ্যে পেরু অন্যতম। এ দেশটিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভিজকারা ক্ষমতায় আসেন ২০১৮ সালে। তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, তাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে এবং সরকারকে অস্থিতিশীল করতে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অভিশংসন প্রক্রিয়া নেয়া হয়েছে। তার দুর্নীতি বিরোধী এজেন্ডায় এমপিরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন- এ অভিযোগে তিনি কংগ্রেস বিলুপ্ত করেন ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। তারপর জানুয়ারিতে সেখানে নির্বাচন হয়। তবে কোনো রাজনৈতিক দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় নি।