ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার পার্টি আবারো আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। দ্যা সানডে টাইমসে উৎকোচের বিনিময়ে ইস্ট লন্ডনের কেনেরি ওয়ার্ফে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের প্লানিং পারমিশন পাইয়ে দেওয়া সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আবারো আলোচনা শুরু হয়েছে টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার পার্টিকে নিয়ে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, প্লানিং পারমিশন পাইয়ে দেবেন বলে ডেভালাপার কোম্পানীর কাছে প্রায় ২ মিলিয়ন পাউন্ড উৎকোচ দাবী করেছেন একজন ব্যবসায়ী। তিনি টাওয়ার হ্যামলেটস লেবার পার্টির একজন কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে এই উৎকোচ দাবী করেন বলেও সানডে টাইমসের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। ওই কাউন্সিলর ডেভালাপার কোম্পানীর কাছে তাকে পরিচয় করিয়ে দেন বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে সানডে টাইমস রিপোর্টটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে একজন কিউসির পরামর্শ অনুযায়ী তা দ্যা সিরিয়াস ফ্রড অফিসে পাঠানো হয়। এরপরই অভিযোগটি নিয়ে তদন্ত শুরু করে দ্যা ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি। অন্যদিকে লেবার পার্টি থেকে বলা হয়েছে, দুর্নীতি বা অপকর্মের সঙ্গে আপোষহীন লেবার। আর টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল বলেছে, প্ল্যানিং পারমিশন সংক্রান্ত কোনো কাজের সঙ্গে আপোষের কোনো নজীর টাওয়ার হ্যামলেটসে নেই।
দ্যা সানডে টাইমসের এক্সক্লুসিভ রিপোর্টে বলা হয়েছে, টাওয়ার হ্যামলেটসের একজন ব্যবসায়ী প্রায় ২ মিলিয়ন পাউন্ড উৎকোচের বিনিময়ে কাউন্সিলের কাছ থেকে কেনেরি ওয়ার্ফে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের প্লানিং পারমিশন এনে দিতে পারবেন বলে ওই ডেভালাপার কোম্পানীর সঙ্গে কথা বলেছেন। কমিউনিটির পরিচিত ওই ব্যবসায়ীকে ডেভালাপার কোম্পানীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন টাওয়ার হ্যামলেটসের সাবেক একজন ডেপুটি মেয়র। দুজনই বাঙালী।
সানডে টাইমসের এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট করা হয়েছে এই ইস্যুটি নিয়ে। রিপোর্টের সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর টেলিফোনে কথাবার্তার রেকর্ডকৃত অংশ প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইস্ট লন্ডনের ডকল্যান্ডে প্রায় ৫শ মিলিয়ন পাউন্ড বাজেটের একটি বহুতল ভবন নির্মাণের প্ল্যানিং পরিকল্পনা পাইয়ে দেবার জন্যে ওই ব্যবসায়ী টাওয়ার হ্যামলেটসের একজন কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে ওই প্রোপার্টি কোম্পানীর সঙ্গে কথা বলেন। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি মেয়র ওই ব্যবসায়ীকে প্রোপার্টি ডেভালাপার কোম্পানীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ওই ব্যবসায়ী পরবর্তীতে প্ল্যানিং এপ্রোভালের জন্যে একটি অবৈধ চুক্তিপত্র বানিয়ে প্রোপার্টি কোম্পানীর কাছে পাঠান। এর বিনিময়ে তিনি ২শ হাজার পাউন্ড উৎকোচ দাবী করেন। বারার ৪ জন রাজনীতিককে এই অর্থ বন্টন করে দেওয়া হবে বলেও দাবী করেন ওই ব্যবসায়ী।
এদিকে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল বলেছে, প্ল্যানিং পারমিশন দেওয়ার ক্ষেত্রে কাউন্সিল কোনো সময়েই কোনো কিছুর সঙ্গে সমঝোতা বা ছাড় দেয় না। সানডে টাইমসে যে প্ল্যানিং পারমিশনের কথা বলা হয়েছে, সেটি ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারীতে কাউন্সিলের স্ট্র্যাটিজিক ডেভালাপমেন্ট কমিটির ৬ জন কাউন্সিলর এর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। আর দুজন কাউন্সিলর ছিলেন অনুপস্থিত। ফলে এই প্ল্যানিং পারমিশনের আবেদনপত্রটি প্রত্যাখ্যাত হয়। মেয়র জনবিগস জানিয়েছেন, যে কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অপকর্ম প্রতিহতের জন্যে তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে সানডে টাইমসে প্রকাশিত অভিযোগটি নিয়ে কাউন্সিল তদন্তকারী সংস্থাকে সব ধরনের সহযোগিতা কওে যাবে।
Labour in £2m skyscraper bribe scandal
Labour has said it is “committed to fighting corruption” after it emerged police received allegations of £2m bribery case linked to an east London councillor.
The National Crime Agency has been passed information from Tower Hamlets Council said to relate to alleged corruption in obtaining of planning permission for a skyscraper development in Canary Wharf, according to The Sunday Times.
The allegations reported in the newspaper suggest that a businessman with close ties to the party was secretly recorded demanding a £2million bribe from property developers seeking to build one of the largest skyscrapers in Britain.
Following the publication of the claims a Labour Party spokesperson said the party is “committed” to fight corruption “in all its forms”.
They added: “Corruption steals from the many to line the pockets of the few.
“Labour is committed to fighting corruption in all its forms. It would not be appropriate to comment on the specifics of this case as it is now a police matter.”
When asked about the allegations, a spokesman for Tower Hamlets Council said its planning process was not compromised.
He added: “Sound governance and transparency has been at the heart of Tower Hamlets Council’s work since the change of leadership in 2015.
“This has included a new whistleblowing policy, clear processes for decision making and the independent investigation of historic complaints of wrongdoing.
“Our planning process was not compromised in any way by the Alpha Square planning application.
“It was rejected by our strategic development committee in February 2016 with six councillors voting to reject it and two abstaining. Council officers recommended it for refusal.
“When the council was made aware of these allegations, we brought in an independent external investigator to gather evidence.
“Their findings were then assessed by a leading QC who recommended that we report the matter to the Serious Fraud Office (SFO).
“We did this and the SFO then passed it onto the National Crime Agency for investigation. We are waiting to hear the outcome.
“We received strong advice from legal counsel not to take any further steps to investigate the matter as to do so could risk prejudicing a police investigation.”
The mayor of Tower Hamlets, John Biggs, said since he was elected he has “worked tirelessly to combat corruption and wrong-doing”.
“When these allegations were raised with me I immediately made the chief executive and the council’s monitoring officer aware of them and passed over the material I was given for them to act upon,” he said.
“The council commissioned an external investigation to look into the allegations and gather evidence which was subsequently referred to the SFO.”#source#ES#