ফাতিকে নিয়ে নেবে স্পেন?

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: অন্য দেশে জন্ম নেওয়া ফুটবলার স্পেন জাতীয় দলে খেলছেন, এমন নজির হালেই আছে। ডিয়াগো কস্তা ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। পরে স্পেনের নাগরিকত্ব থাকায় স্পেন জাতীয় দলকে বেছে নিয়েছেন তিনি। বায়ার্ন মিউনিখ মিডফিল্ডার থিয়াগো আলকানতারার জন্মও ব্রাজিলে। তার বাবা মাজিনহো ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছেন। বার্সেলোনায় খেলা ছোট ভাই রাফিনহাও খেলেন ব্রাজিলে। কিন্তু তিনি খেলেন স্পেনের হয়ে। মেসিরও স্পেনের নাগরিকত্ব আছে। চাইলে তিনিও স্পেনের হয়ে খেলতে পারতেন। কিন্তু খেলেননি।
এবার গিনি বিসাউয়ের তরুণ ফরোয়ার্ড আনশুমানে ফাতির দিকে চোখ স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের। মাত্র ১৬ বছর বসয়ে বার্সেলোনার জার্সিতে মাঠে নেমে রেকর্ড গড়েছেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে লা লিগায় সবচেয়ে কম বসয়ে গোল করে রেকর্ড গড়েছেন। কাতালানদের হয়ে ক্যারিয়ারের তৃতীয় ম্যাচেও গোল করেছেন তিনি। তাকে বার্সার পরবর্তী মেসি মনে করা হচ্ছে। ছোটবেলায় পরিবারের সঙ্গে স্পেনে চলে আসা ফাতিকে তাই জাতীয় দলে খেলাতে চায় দেশটির ফুটবল ফেডারেশন।
স্পেন জাতীয় দলের কোচ মরিনো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। শনিবার ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ৫-২ গোলে জিতেছে বার্সা। শুরুর একাদশে নেমে ম্যাচের সাত মিনিটের মাথায় গোল করেন ফাতি। ডি লিট, পিকের পর সুয়ারেজ শেষে জোড়া গোল করে দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন। দুর্দান্ত খেলা ফাতিকে নিয়ে মরিনো বলেন, ‘স্পেন ফুটবল ফেডারেশনের কর্তারা তাকে জাতীয় দলে আনার ব্যাপারে কাজ করছে। এখন কী করবে সে সিদ্ধান্ত ফাতির।’
ফাতির বয়স এখনও কম। তাকে জাতীয় দলে নেওয়া এবং সরাসরি নাগরিকত্ব দেওয়ার সহজ উপায় হচ্ছে তার বাবাকে স্পেনের নাগরিকত্ব দেওয়া। ফাতির বাবা এরই মধ্যে স্পেনের নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তিনি প্রায় এক দশক ধরে স্পেনে আছেন। স্পেন কোচ মরিনো বলেন, ‘ফেডারেশন সেরা ফুটবলারদের জাতীয় দলে আনার চেষ্টাই সব সময়ই করে। ফাতি লা মাসিয়ে থেকে উঠে এসেছে। এটা বার্সার জন্য দারুণ এক ব্যাপার। এখন ফাতির মাথা ঠান্ডা রেখে এগোতে হবে। আমার মনে হয় সে খুবই স্থির আছে।’

Advertisement