ইংলিশ চ্যানেলে ইনফ্লেটেবল ডিঙি ডোবার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে পরস্পরকে দোষারোপ করছে যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। এমন অবস্থায় ফরাসী সরকারকে চিঠি পাঠিয়ে অভিবাসীদের ফিরিয়ে নিতে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এতেই ক্ষুব্ধ হন ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে।শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বরিসের চিঠির জবাবে ম্যাক্রোঁ বলেন, ইংলিশ চ্যানেলে অভিবাসী ঢল ঠেকাতে যুক্তরাজ্যকে আরও গুরুত্বদিতে হবে।
রোমে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মন্ত্রীরা গুরুত্বসহকারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এরপর কীভাবে আরও কার্যকর উপায়ে ব্রিটিশদের সঙ্গে সামনে এগোনো যায়, তা দেখা হচ্ছে।
ডয়েচে ভেলে জানায়, অভিবাসন পরিচালনার জন্য ব্রিটিশ সরকারকে অভিযুক্ত করছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, ‘অভিবাসন সমস্যা ব্যবস্থাপনার জন্য বরিস জনসনের টুইটটি হালকাভাবে করা হয়েছে। যখন কোনো কাজ গুরুত্বসহকারে করা হয় না, তখন তা দেখে আশ্চর্য হই আমরা। আমরা টুইট বা কোনো চিঠি দিয়ে নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি না। আমরা কোনো হুইসেল ব্লোয়ার নই।’
এদিকে লন্ডনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্যারিস বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে।
এএফপি জানায়, এসব ঘটনার জেরে আগামীকাল রবিবার অভিবাসী নিয়ে ব্রিটিশ স্বরাস্ট্র সচিব প্রীতি প্যাটেলের সঙ্গে ফরাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিনের পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছে ফ্রান্স। এ প্রসঙ্গে ডারমানিন বলেন, ফরাসী প্রেসিডেন্টকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যে চিঠি দিয়েছেন তা হতাশাজনক।
এর আগে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোকে চিঠি দিয়ে এক আহ্বানে বরিস বলেছেন, ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্য পৌঁছানো অভিবাসীদের ফিরিয়ে নিতে হবে। চিঠিতে গত বুধবার ২৭ জনপ্রাণ হারানোর মতো বিপর্যয় এড়াতে ৫টি পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।অভিবাসী মৃত্যুর ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করছে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। ডারমানিন বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্যের অভিবাসী ব্যবস্থাপনা খুবই খারাপ। এটা একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। আমরা আমাদের বেলজিয়ান, জার্মান এবং ব্রিটিশ বন্ধুদের বলি, তারা যেন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমাদের সাহায্য করে।প্রীতি প্যাটেল জানিয়েছেন, তিনি ডারমানিনের সঙ্গে কথা বলবেন। এর আগে, ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, অভিবাসীদের পারাপার বন্ধ করতে ফ্রান্সের আরও কিছু করা উচিত।বৈঠক বাতিল করায়, ফরাসী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সেই কথা আর বলতে পারছেন না প্রীতি।