বল্টনের সাক্ষ্য চায় ডেমোক্র্যাটরা

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন বিচার প্রক্রিয়ায় তার চিফ অব স্টাফ ও সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টনের সাক্ষ্য চায় ডেমোক্র্যাটরা। অন্যদিকে, হোয়াইট হাউজ জো বাইডেন এর ছেলে হান্টার বাইডেনের সাক্ষ্য নিতে চাইছে। আগামীকাল মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ থেকে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন বিল পাস হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিলটি পাস হলে তা যাবে সিনেটের কাছে। এরপর আগামী বছরের প্রথম মাসে উচ্চকক্ষ সিনেট তাকে অপসারণের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবে। এ খবর দিয়েছে দ্য টাইমস।

খবরে বলা হয়, সিনেটের সংখ্যালঘু ডেমোক্র্যাট নেতা চাক শুমার হোয়াইট হাউজের কাছে চার ব্যক্তির সাক্ষ্য নিতে চেয়ে অনুরোধ করেছেন। তাদের মধ্যে জন বল্টন, ট্রাম্নের বর্তমান চিফ অব স্টাফ মিক মুলভানেও রয়েছেন। তবে শুমারের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে হোয়াইট হাউজ।

তারা বল্টন ও মুলভানেকে সাক্ষ্য দিতে রাজি হয়নি। শুমার জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই সপিনা জারি করে হাজির করতে হবে। তিনি আরো জানান, অভিশংসন তদন্তের সময়ও ওই চার ব্যক্তিকে সাক্ষ্য দিতে আহ্বান জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারা কেউ আসেনি।

এদিকে, ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, তার ডেমোক্র্যাটিক প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেন ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে তার ছেলে হান্টার বাইডেন ইউক্রেনিয় একটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে দুর্নীতিতে জড়িত ছিল। জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তার ছেলেকে বাঁচাতে প্রভাব খাটিয়েছেন বলে অভিযোগ এনেছেন ট্রাম্প।

প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্ত শুরু হয় গত জুলাই মাসে ইউক্রেনিয় প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে তার এক ফোনালাপ নিয়ে। ওই ফোনালাপে জো বাইডেন ও তার ছেলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি তদন্ত চালু করতে জেলেনস্কিকে চাপ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। অন্যথায় সামরিক সহায়তা আটকে রাখার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তদন্ত অনুসারে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সামরিক সহায়তা আটকে রাখার ব্যাপারে ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছিলেন তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা। এই দাবির সমালোচনা করেছেন বল্টন।

সম্প্রতি ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেসের বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টির অভিযোগ এনেছে। দুই ধারার অভিশংসনের বিল অনুমোদন করেছে হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটি। গতকাল তাদের অভিশংসন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে কমিটি। প্রতিবেদন অনুসারে, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগও আনা হয়েছে। অভিশংসন বিলটি এবার নিম্নকক্ষে ওঠবে। ধারণা করা হচ্ছে, অল্প ব্যবধানে পাস হবে বিলটি।

Advertisement