ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : বাংলাদেশের এতিম শিশু এবং অসহায় মহিলাদের জন্যে অত্যন্ত নিরবে কাজ করে যাচ্ছেন এক বৃটিশ রমনী। বৃটিশ এয়ারওয়েজ এবং দানশীলদের সহযোগিতায় ঢাকার অদূরে গড়ে তুলেছেন শ্রীপুর ভিলেজ নামে একটি পল্লি। যেখানে প্রায় ৪৭৫ জন অনাথ অসহায় শিশু ও মহিলা স্বাধীনভাবে নিজেদের স্বাবলম্বী করে তুলছেন। ঢাকার টঙ্গীতেও শিশু সেন্টার তৈরী করছে ট্রিশাদের চ্যারিটি সংস্থা।
ট্রিশা সিলভারস্টোন। ১৯৭৭ সালে গিয়েছিলেন বাংলাদেশ সফরে। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের এতিম শিশুরাই তার মনে সবচাইতে বেশি নাড়া দিয়েছিল সেই সময়। এরপর বৃটিশ এয়ারওয়েজের বিশেষ সহযোগিতায় এতিম শিশু ও মহিলাদের জন্য ঢাকার অদুরে শ্রিপুর নামে একটি ভিলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ট্রিশা এবং তার সহযোগিরা। ১৯৮৯ সালের ফেব্রুয়ালীতে তৎকালিন রাষ্ট্রপতি হোসেইন মোহাম্মদ এরশাদ এবং লর্ড কিং বৃটিশ এয়ারওয়েজ শ্রিপুর গ্রামের উদ্বোধন করেন।
ট্রিশার সঙ্গে কথা হয় লন্ডনে শ্রিপুর ভিলেজের হেডকোয়ার্টারে বসে। শ্রিপুর গ্রামের জন্যে এখানেই বসেই তিনি ইউকের প্রায় ১১শ দাতার সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। প্রতি তিন মাস পরপর তাদেরকে এ ধরনের নিউজ লেটারের মাধ্যমে আপডেট পাঠান। জানালেন, ১৯৮১ সাল থেকে তার সঙ্গে যুক্ত হওয়া বৃটিশ এয়ারওয়েজের স্টুয়ার্ড পেট কার এখনো শ্রিপুর ভিলেজ দেখাশুনা করেন। শুধু শ্রিপুর ভিলেজই নয়। ঢাকার টঙ্গীতে পথ শিশুদের জন্যে ৬ তলা একটি বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চলছেও বলেও জানান ট্রিশা।
ট্রিশার ছেলে, শ্রিপুর ভিলেজে নিয়মিত কাজ করছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশী কন্যার সঙ্গে বিয়ের বন্ধনেও আবদ্ধ হয়েছেন ট্রিশার শিশু বিশেষজ্ঞ ছেলে। শ্রিপুর ভিলেজে বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন নিয়ে বড় হওয়া এই শিশুদের জন্যে ইউকে প্রবাসী বাংলাদেশী দানশীলদের কাছে সহযোগিতা চান ট্রিশা। শ্রিপুর ভিলেজের ওয়েব সাইটে গিয়ে সব তথ্য পাওয়া যাবে।