বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কমিশন যুক্তরাজ্য ওমেন শাখার আলোচনা সভা শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তারা নারী উন্নয়ন এবং ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের প্রশংসনীয় অগ্রগতির উপর গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কমিশন যুক্তরাজ্য ওমেন শাখার সভাপতি সাজিয়া স্নিগ্ধার সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক শাহিন নাহার লীনার সঞ্চালনায় ইস্ট লন্ডনের একটি হলে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। প্রধান বক্তা ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, গেস্ট অব অনার ছিলেন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কমিশনের সেক্রেটারি জেনারেল ডঃ সাইফুল দিলদার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হাইকমিশন লন্ডনের পলিটিকাল কন্সুলার শ্যমল কান্তি , টাওয়ার হ্যামলেটসের স্পিকার কাউন্সিলর আয়াস মিয়া, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কমিশন ইউকে সভাপতি আবদুল আহাদ চৌধুরী, কমিউনিটি একটিভিসট সেলিম আহমেদ খান, কাউন্সিলর জসীম, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কমিশন লন্ডন গভর্নর মাশুদুল ইসলাম রুহুল, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কমিশন লন্ডন সভাপতি জাহাঙ্গীর খান, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী সভাপতি গোলাম মোস্তফা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে সকল শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। সভাপতির স্বাগত বক্তব্যের পর সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ গত এক বছরের হিসাব নিকাশ সকলের সামনে উপস্থাপন করেন, দপ্তর সম্পাদক আগামী এক বছরের পরিকল্পনা প্রকাশের পর অতিথি প্যানেলের জন্য উপস্থিত দর্শকদের কাছ থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন নেয়া হয়।
প্রশ্ন উত্তর পর্বে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, কোন মানুষের নামে কুৎসা রটনা করা, মিথ্যা বলা , মানুষকে বিভ্রান্ত করা যেমন মানবাধিকার লঙ্ঘন তেমনি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা, ইতিহাস বিকৃত করা মানবাধিকার লঙ্ঘন। আবার অপরাধীকে সাজা না দেয়াও মানবাধিকার লঙ্ঘন। অপরাধীদের পক্ষে যে কোন মানুষ দাঁড়াক না কেন তা অনৈতিক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন। দোষী ব্যক্তির সাঁজা নিশ্চিত করা মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অন্যতম দায়িত্ব বলে তিনি মনে করেন। লন্ডন হাই কমিশনে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করা নিয়ে ব্রিটিশ সরকারের ভুমিকা নিয়েও প্রশ্ন করেন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেন, আজকে এমন ঘটনা যদি বাংলাদেশে ঘটতো তাহলে ব্রিটিশ সরকারের ভুমিকা কি হতো এবং বাংলাদেশ সরকারের ভুমিকা কি হতো?ব্রিটিশ সরকার অপরাধীদের সাঁজা দেয়ার ব্যপারে কিছুই করছে না কেন সে প্রশ্নও করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে নারী উন্নয়নে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে বক্তারা প্রশংসা করেন। প্রধান বক্তা সুলতান মাহমুদ শরীফ বলেন, মহিলাদের অংশগ্রহণ এখন সর্বক্ষেত্রে । জেলা, পৌরসভা, ওয়ার্ড , বিমান বাহিনীতে, নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী , পুলিশ , মন্ত্রণালয়, রাজনীতিতে চাকুরী ক্ষেত্রে সকল জায়গায় বাংলাদেশে নারীদের অংশগ্রহণ বিশ্ব দরবারে এখন ঈর্ষনীয়। বাংলার মেয়েরা স্বাবলম্বী হলে নারী নির্যাতন চিরতরে নির্মূল হবে , অর্থনীতি আরও উন্নত হবে এবং বাংলাদেশ খুব শীঘ্রই মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছবে।
বাংলাদেশ থেকে আগত বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস কমিশনের প্রতিনিধি দল ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মী এবং সাংবাদিক আনসার আহমেদ উল্লাহ, জামাল আহমেদ খান, জুবায়ের আহমেদ, রহিমা রহমান, ডঃ মুকুল, জাহানারা বেগম, মিলন, শাহ বেলাল, আসমা মতিন, নার্গিস রাহাত , আবুল ফয়েজ , খালেদ জয়, মাধবিলতা, তাহমিনা, দ্বীপ প্রমুখ।