বারী সিদ্দিকী লাইফ সাপোর্টে

প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী বারী সিদ্দিকীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, তাঁর দুটি কিডনি অকার্যকর। তিনি বহুমূত্র রোগেও ভুগছেন। এ ছাড়া শুক্রবার রাতে তিনি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন। এরপর তাঁকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, তখন তিনি অচেতন ছিলেন। তাঁকে দ্রুত নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।

শনিবার সকালে বারী সিদ্দিকীর ছেলে সাব্বির সিদ্দিকী জানান, ‘বছর দুয়েক যাবৎ বাবা কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। গত বছর থেকে সপ্তাহে তিন দিন কিডনির ডায়ালাইসিস করছেন তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে যান। সেখান থেকে রাত ১০টা নাগাদ বাসায় ফেরেন। তখনো তিনি স্বাভাবিক ছিলেন। কোনো অসুস্থতার কথা বলেননি। গভীর রাতে হঠাৎ তিনি গুরুতর হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হন। মুহূর্তেই অচেতন হয়ে পড়েন।’

সাব্বির সিদ্দিকী জানান, বারী সিদ্দিকীর অবস্থা ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। চিকিৎসকেরা কোনো আশার কথা বলতে পারছেন না। তিনি বারী সিদ্দিকীর জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।

বারী সিদ্দিকীর অন্যতম শিষ্য জলের গানের শিল্পী রাহুল আনন্দ বলেন, ‘গুরুজির অসম্ভব মনের জোর। অনেক দিন থেকে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু দেখে কিংবা কথা বলে তা বোঝার উপায় ছিল না। তিনি গান গেয়ে গেছেন। এই তো সেদিন হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উপলক্ষেও টিভি চ্যানেলে তিনি গান গেয়েছেন, কথা বলেছেন।’

দীর্ঘদিন সংগীতের সঙ্গে জড়িত থাকলেও সবার কাছে বারী সিদ্দিকী শিল্পী হিসেবে পরিচিতি পান ১৯৯৯ সালে। ওই বছর হুমায়ূন আহমেদের ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিটি মুক্তি পায়। এই ছবিতে তিনি ছয়টি গান গেয়েছেন। তাঁর জনপ্রিয় হওয়া গানগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘শুয়াচান পাখি আমি ডাকিতাছি তুমি ঘুমাইছ নাকি’, ‘পুবালি বাতাসে’, ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়’, ‘ওলো ভাবিজান নাউ বাওয়া’, ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’। এরপর তিনি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন। তাঁর গাওয়া গান নিয়ে বেরিয়েছে অডিও অ্যালবাম।

Advertisement