বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে লন্ডনের আলতাব আলী পার্কের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বেটাগিরি শক্তির মহড়া

ব্রিটবাংলা রিপোর্টঃ ইতিহাস তাই বলে ৫৩ টি সংগঠনের আর্থিক সহযোগীতা এবং বিলেতেরপ্রাচীনতম সংগঠন বাংলাদেশ ওয়েল ফেয়ার এর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট শফিকুর রহমান চৌধুরী সাবেক এমপির নেতৃত্বে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের সার্বিক সহযোগীতার মাধ্যমে বিলেতের আলতাব আলী পার্কের কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার প্রতিষ্ঠিত হয়।

পরবর্তীতে কৃষ্টি সংস্কৃতির চৰ্চা শহীদ মিনারকে ঘিরে চলে আসছে ৷ প্রতিবছর কাউন্সিলের তত্বাবধানে সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানের মধ্য দিয়ে ২১শের ভাষা দিবসের প্রথম প্রহর উদযাপন করে বিলেতের বাঙালীরা ৷

কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার নামের একটি কমিটিও রয়েছে ৷ কিন্তু দুঃখের বিষয় শফিকুর রহমান চৌধুরী বাংলাদেশে রাজনীতিক কারনে স্থায়ী ভাবে বসবাসের কারনে বর্তমান কমিটি অকার্যকর এবং গতিশীল নয় ৷

প্রতিবছর বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্ষালে বিপুল সংখ্যাক, প্রবাসী এবং রাজনীতিক দল সংগঠন উপস্থিত হন নিজেদের শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য কিন্তু দুঃখের বিষয় বর্তমানে শহীদ মিনারে উপস্থিতি এবং বিশৃঙ্খলা পরিবেশ সূষ্টি স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যে পড়েছে ৷

১৬ ই ভিসেম্বরের মধ্যরাতের শুরুতে শহীদ মিনারের মূল বেদির দখল নিতে বিএন পির অংঙ্গ সংগঠন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক ও সেক্রেটারী কয়সর আহমদের নেতৃত্বে শক্তি প্ৰদৰ্শন এবং মূল বে দিতে জুতা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান অন্যদের কে শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং উত্তেজনাকর শ্লোগান প্ৰদৰ্শন শহীদ মিনারের পরিবেশকে নষ্ট করতে উৎসাহীত করেছে ৷

অন্যদিকে সংখ্যার দিক দিয়ে কম হলেও যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠন যুক্তরাজ্য আওয়ামীগের প্রেসিডেন্ট সুলতান মাহমুদ শরীফ নইম উদ্দিন রিয়াজ হরমুজ আলী সেলিম খান আফসার খাঁন সাদেক জামালখাঁনের নেতৃত্বে মুলবেদীর দখল নিতে শহীদ মিনারে অবস্থান নেন ৷

দীর্ঘ্য সময় ধরে উত্তেজনা চলতে থাকে এবং অনেক ভুঁইফোঁড় সংগঠনের একই সময়ে মুল বেদীতে উঠে পড়ে৷এমনই এক পর্যায়ে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব প্রেসিডেন্ট সাংবাদিক সৈয়দ নাহাস পাশার নেতৃত্বে লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের আস ম মাসুম, আহাদ চৌধুরী বাবু, রহমত আলী সহ অন্যান্যরা এবং শহীদ মিনার কমিটির হরমুজ আলীর অনুরোধে বিএনপি ও আওয়ামীলীগ মুল বেদী থেকে নামে ৷

পরে সংগঠন গুলো শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ৷ শহীদ মিনারে উপস্থিত অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন রাজনৈতিক দল গুলোর এ রকম অসুস্থ প্রতিযোগী তা এবং মধ্যরাতের শ্লোগান ও পাল্টা শ্লোগান স্থানীয় বাসিন্দাদের সমস্যার কথা বিবেচনা করে কাউন্সিল মধ্যরাতের এই আয়োজন বন্ধ করে দিতে পারে ৷

লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব প্রেসিডেন্ট নাহাস পাশা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন শহীদ মিনারের মধ্যরাতের এই অসুস্থ চর্চাকে নিরুৎসাহীত করতে হবে ৷

শহীদ মিনার কমিটিকে কার্যকর দেখতে চাই ৷ এবং কাউন্সিল এ ব্যাপারে উদ্যোগী হবে বলে আমি আশাবাদী ৷

Advertisement