ব্রিটবাংলা রিপোর্ট:বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় যথাযোগ্য মর্যাদায় অমর একুশে মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন করেছেন ব্রিটেনের প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ করতে একুশের প্রথম প্রহর থেকেই পূর্ব লন্ডনের আলতাব আলী পার্কস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেমেছিল জনতার ঢল।
দিনটিকে স্মরন করতে মধ্যরাত এগারােটার পূর্বেই আলতাব আলী পার্কের কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেয় রাজনীতিবিদ জন প্রতিনিধি সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠনের শতশত মানুষ ৷
শহীদদের স্মরণ করতে অন্য ভাষা ভাষি মানুষজনও জড়ো হন ৷
কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার কমিটির এবং কাউন্সিলের তত্বাবধানে শ্রদ্ধা নিবেদনে অন্যান্য বছর থেকে এবছর ছিলো অনেক টা সুশৃঙ্খল ৷
পুলিশ ও সিকিউরিটি পর্যাপ্ত থাকায় এবং রাজনীতিক দল গুলোর সহযোগীতা থাকায় কোন ধরনের অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি ৷
মধ্যরাত বারোটা এক মিনিটে ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার নাজমুল কাওনাইন ও টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল’র নির্বাহী মেয়র জনবিগস,স্পিকার,শহীদ মিনার কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে রাত ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
হাইকমিশনার ও মেয়রের পর পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার কমিটি, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগ, যুক্তরাজ্য বিএনপি, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব, লেবার পার্টি, কনজারভেটিভ পার্টি, জাতীয় পাটি যুক্তরাজ্য জাসদ, কমিউনিস্ট পার্টি,চ্যানেলএস,এন টিভি,উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, যুবলীগ, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, জাসাস, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল, বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্ট,লন্ডন মহানগর বিএনপি, লন্ডন মহানগর আওয়ামীলীগ, ইতালি সমিতি, মাদারিপুর সমিতি সহ বিভিন্ন সংগঠন।
এদিকে পূর্ব লন্ডনের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ছাড়াও ব্রিটেনের ওল্ডহাম, বার্মিংহাম, লুটন ও নিউক্যাসেলসহ বিভিন্ন শহরে অমর একুশে উদযাপিত হয়েছে। একুশের প্রথম প্রহরে প্রতিটি শহীদ মিনারে নেমেছিল জনতার ঢল।
তাহা ছাড়া ২১শের সকালে ছিলো প্রভাত ফেরীর আয়োজন ৷