বিমান চলাচলে করোনা বিস্তার বৃদ্ধি পাবে, সবচেয়ে ঝুঁকিতে চীন ও ভারত

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: আকাশপথে বিমান চলাচল শুরু হলেই করোনা ভাইরাসের বিস্তার বৃদ্ধি পাবে। বিশ্বের ১৩৬৪টি বিমানবন্দরের ওপর চালানো নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এমন সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে চীন ও ভারতের বিমানবন্দরগুলো। বিমান চলাচল শুরু হলে আক্রান্ত যাত্রীরা চলাচল শুরু করবেন। তাতে এই সংক্রমণ ঝুঁকি বৃদ্ধি পাবে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে বিমান চলাচল অনেক দেশেই বন্ধ রয়েছে অথবা সীমিত আকারে চলাচল করছে। এ খবর দিয়ে অনলাইন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলেছে, ভারতে জনঘনত্ব অনেক বেশি। এখানে আভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে প্রচুর মানুষ চলাচল করেন দেশের ভিতরে। ফলে নিজেদের থেকেই দেশের ভিতরে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ভারতে এমন ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি রাজধানী নয়া দিল্লিতে অবস্থিত ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। সেখানে ঝুঁকির মাত্রা ০.৫। এরপরেই রয়েছে পর্যায়ক্রমে ছত্রাপতি শিবাজি বিমানবন্দর (০.৪৫), ব্যাঙ্গালোরের কেমপেগোড়া বিমানবন্দর (০.২৭)। অন্যদিকে চীনের রাজধানীতে বেইজিং ক্যাপিটাল এয়ারপোর্টে এই ঝুঁকির মাত্রা ০.৭৪। এরপরে রয়েছে হংকং (০.৬৩)। সারাবিশ্বের প্রেক্ষিতে এমন ঝুঁকিতে থাকা চতুর্থ বিমানবন্দর দিল্লি। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর (০.৫৩)।
বিশ^জুড়ে ধারণা আছে যে, আকাশপথে আন্তর্জাতিক চলাচলের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঘটে। কিন্তু এই গবেষণায় বলা হচ্ছে, ভারতে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হলো আভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে চলাচলকারীরা। বিশ্বে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি বিমানবন্দরের মধ্যে ১৫টির অবস্থানই ভারতে। গবেষণায় দৃষ্টি দেয়া হয়েছে বিশেষ করে আফ্রিকা ও ভারতের দিকে। কারণ, এই দুটি দেশই করোনা ভাইরাস বিস্তারের খুব বেশি ঝুঁকিতে। এই গবেষণার শিরোনাম ‘এস্টিমেটিং কোভিড-১৯ আউটব্রেক রিস্ক থ্রু এয়ার ট্রাভেল’। তেল আবিব ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিষয়ক দু’জন বিশেষজ্ঞ এই গবেষণা করেছেন। তারা যোগ দিয়েছিলেন অক্সফোর্ড ম্যাথমেটিক্যাল ইন্সটিটিউটের একজন গণিতবিদের সঙ্গে। তাদের গবেষণা পর্যালোচনার জন্য গৃহীত হয়েছে। অক্টোবরের জন্য বিশ^ বিমান চলাচল ডাটা ব্যবহার করে কিভাবে কোভিড-১৯ এর বিস্তার ঘটতে পারে এই মডেলে তাই দেখানো হয়েছে। ধরা হয়েছে, এই অক্টোবরের আগেই দ্বিতীয় দফা আঘাত করতে পারে করোনা ভাইরাস। এটা হতে পারে বিমান চলাচল শুরুর মাধ্যমে।

Advertisement