বিশ্বকাপের ২০ লাখ টিকিটের ১২ লাখ শেষ

দোরগড়ায় ফিফা ওয়ার্ল্ডকাপ।নভেম্বরে পর্দা উঠবে কাতার বিশ্বকাপের। ইতোমধ্যে পছন্দসই দলের ম্যাচের টিকিট সংগ্রহে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে ফুটবলপ্রেমীরা। এরইমাঝে বরাদ্দকৃত ২০ লাখ টিকিটের ১২ লাখ বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে আয়োজক দেশ।টিকিট বিক্রির সবশেষ পর্বের জন্য এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত ২ কোটি ৩৫ লাখ আবেদন জমা পড়ে। ফিফা জানিয়েছে, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, মেক্সিকো, কাতার, সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্র থেকে বেশি আবেদন জমা পড়েছে। কাতার বিশ্বকাপের আয়োজক কমিটির মহাসচিব হাসান আল থাওয়াদি বলেন, ‘প্রায় ১২ লাখ টিকিট বিক্রি হয়েছে। প্রকৃতপক্ষেই মানুষ টিকিট সংগ্রহ করছে এবং তারা এখানে আসতে রোমাঞ্চিত।’বরাদ্দকৃত টিকিটের বাকি ৮ লাখের জন্য আবেদন শুরুর দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি এখনো। পরবর্তী ধাপে যারা আগে আবেদন করবেন তারাই টিকিট পাবেন।

বিশ্বকাপ উপলক্ষে আয়োজক কাতার বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা দর্শকদের জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। হোটেল বহির্ভূত বাসস্থান বাড়িয়েছে তারা। বিভিন্ন ভিলা এবং অ্যাপার্টমেন্টে দর্শকদের জন্য অসংখ্য কক্ষ তৈরি করা হয়েছে সেখানে।৩২ দলের টুর্নামেন্টটি অনুষ্ঠিত হবে কাতারের রাজধানী দোহা এবং এর আশপাশের আটটি স্টেডিয়ামে।যেকারণে বিশ্বকাপের সময় দর্শকদের চাপটা বেশি পড়বে দোহায়। বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি জানিয়েছে, প্রায় ২৪ লাখ জনসংখ্যার শহরটিতে হোটেলের বাসস্থানের দুষ্প্রাপ্যতা নিরসনে এবং দর্শকদের বিশাল আগমনের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।আয়োজক কমিটি জানায়, হোটেল অ্যাপার্টমেন্ট, ক্রুজ শিপ এবং মরুভূমি ক্যাম্পে ১ লাখ ৩০ হাজার রুমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ১ হাজার কাতারের ঐতিহ্যবাহী তাঁবুও থাকতে বলে জানিয়েছে। প্রতি রাতে যার ভাড়া ধার্য করা হয়েছে ৮৫ ডলার।বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটির মহাসচিব থাওয়াদি বলেন, ‘আমরা এমন একটি পরিবেশ তৈরি করছি, যেখানে দর্শকরা স্বল্পমূল্যে সেবা পাবেন। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীদেরও লাভ হবে।দর্শকদের আমন্ত্রণ জানিয়ে থাওয়াদি কাতারের সংস্কৃতি রক্ষার অনুরোধ করেন, ‘সবাইকে স্বাগতম। তবে আপনি কোথায় আসছেন তা মাথায় রাখতে হবে। আমাদের খুব সমৃদ্ধ সংস্কৃতি রয়েছে। সবাইকে আমাদের সংস্কৃতিকে সম্মান জানানোর অনুরোধ করছি।বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে কাতার সরকার। বিশ্বকাপ চলাকালে অবাধ যৌনতা, রাতভর পার্টি এবং সমকামিতাকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কেউ এটি অমান্য করলে ৭ বছরের জেলও হতে পারে।

Advertisement