বিশ্বের ‘প্রথম করোনা ভ্যাকসিনের’ উৎপাদন শুরু

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: কোভিড-১৯ মহামারীর ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের ঘোষণার সপ্তাহ না পেরোতেই এর উৎপাদন শুরু করেছে রাশিয়া। স্পুটনিক-ভি নামের এই টিকা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম দাবি করে খুচরা বাজারে বিক্রির লক্ষ্যে শনিবার থেকে এর উৎপাদন শুরু করল দেশটি। রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স এ খবর দিয়েছে।

বিশ্বে করোনা প্রতিরোধে রাশিয়াই ‘প্রথম ভ্যাকসিন’ উদ্ভাবনের দাবি করেছে। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই ভ্যাকসিন বিশ্ববাসীর জন্য কতটুকু নিরাপদ হবে সে বিষয়ে ইতিবাচক কোনো সাড়া এখনও পর্যন্ত দেয়নি।

মস্কোর গামালেয়া ইনস্টিটিউট প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ভ্যাকসিনটি তৈরি করে। রুশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, চলতি মাসের শেষ দিকে ভ্যাকসিনটি বাজারজাত করা হবে। তবে রাশিয়ার তৈরি এই ভ্যাকসিনেরে কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্বের বিজ্ঞানী মহল। কয়েকজন বিজ্ঞানী এও বলেছেন যে, এই টিকা সরবরাহের ফলে রাশিয়ার ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে।

শনিবার রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো জানান, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাচ বাজারে বিক্রির জন্য অবমুক্ত করা হবে। ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা নিয়ে যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি বলেন, রাশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বীরাই শুধু এমন কথা বলছে।

তিনি আরও জানান, এই ভ্যাকসিন গ্রহণকারীরা কোনো ধরনের সমস্যার মুখে পড়ছেন কিনা তা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি বিশেষ অ্যাপ তৈরি করা হচ্ছে।

রাশিয়ার উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে সৃষ্ট আন্তর্জাতিক উদ্বেগ নাকচ করে দিয়ে রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের অনুমোদিত করোনার টিকা নিয়ে উদ্বেগ-সংশয় ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’।

প্রথম পর্যায়ে ১০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হবে। দেশটি থেকে এই ভ্যাকসিন নিতে এরইমধ্যে ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

গত মঙ্গলবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের চূড়ান্ত ঘোষণা (অনুমোদনের ঘোষণা) দেন। তিনি বলেন, তার দেশ করোনা প্রতিরোধের টিকা আবিষ্কারে বিশ্বে প্রথম হয়েছে।

রাশিয়ায় শনিবার নতুন করে ৫০৬১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যনন্ত ৯ লাখ ১৭ হাজার ৮৮৪ জন এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন দেশটিতে। মারা গেছেন ১৫ হাজার ৬১৭ জন।

Advertisement