ব্রিটবাংলা ডেস্ক : বিশ্বের প্রায় ৭ মিলিয়ন বিজ্ঞানী বা গবেষকের মধ্য থেকে বাচাই করে শীর্ষ দেড়শ হাজার এবং এরমধ্যে থেকে বাচাই করে শীর্ষ ১শ হাজার বিজ্ঞানীর একটি তালিকা তৈরী করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যায়ল। এই তালিকার শীর্ষ ১ শতাংশ বা ১শ হাজার বিজ্ঞানীর তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন বাঙালী বিজ্ঞানী পারভেজ হারিস। লেস্টারের ডি মন্টফোর্ট ইউনিভার্সিটির বায়োমেডিকেল সাইন্সের প্রফেসর ডক্টর হ্যারিসের আর্সেনিকের উপর গবেষণাটি বেশ সাড়া জাগিয়েছে।
বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কৃতি সন্তান প্রফেসর পারভেজ আই হারিস বায়ো ক্যামিস্ট্রিতে পিএইচডির পর এ পর্যন্ত প্রায় ৩শ গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি জানান, গবেষকদের গবেষণা রিপোর্টগুলো বিভিন্ন জার্নালে প্রকাতি হবার পর বিজ্ঞানীরা তা পড়েন। যে গবেষণা রিপোর্ট বেশি পঠিত হয়, সেটার উপর ভিত্তি করে এলগারোদিম সিস্টেমে এই শীর্ষ তালিতা নির্ধারণ করা হয়।
প্রফেসর পারভেহ হারিসের অন্যতম একটি গবেষণা ছিল আর্সেনিকের উপর। গবেষণায় তিনি দেখিয়েছেন, শুধু পানি নয় চাউল থেকেও শরীরে আর্সেনিকের পরিমান বৃদ্ধি পায়। তিনি বলেন, ব্রিটেনে এশিয়ানদের মধ্যে বাঙালীরা সবচাইতে বেশি ভাত খান। ভাত শরীরের মধ্যে ধীরে ধীরে আসের্নিক তৈরী করে। আর্সেনিক থেকে পরিত্রানের উপায়ও বের করেছেন তিনি।
পানিতে জন্মানো ফেনা বা জার্মুনির গুড়া দিয়ে তৈরী করা পাওডার দিয়ে পানি আর্সেনিকমুক্ত করা সম্ভব বলে জানান তিনি। এছাড়া আর্সেনিকমুক্ত পানির মধ্যে তৈরী ধানের চাউল শরীরে আর্সেনিক হয়না বলেও গবেষণা রিপোর্টে দেখিয়েছেন তিনি। সিলেটের সুগন্ধি চিকন চাউল আর্সেনিক ঝুঁকিমুক্ত এবং স্বাস্থ্যের জন্যে ভালো বলেও উল্লেখ করেন ডক্টর পারভেজ হারিস।
ডক্টর হারিস জানান, আর্সেনিক নিয়ে তার গবেষণাটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং জাতিসংঘ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আর্সেনিক মুক্তির ক্যাম্পেইনে রেফারেন্স করছে।
বাংলাদেশে প্রায় ৫০ মিলিয়নের বেশি মানুষ আর্সেনিক ঝুঁকিতে রয়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে সরকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করার পরিকল্পনার কথাও জানান প্রফেসর হ্যারিস।
প্রফেসর হ্যারিসের জন্ম মৌলভীবাজারের একাটুনা ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামে। ১০ বছর বয়সে বিলেত আসে। প্রয়াত বাবা আলহাজ্ব মোহাম্মদ হারিসের মালিকানাধীন কার্ডিফে গোল্ডেন বেঙল রেষ্টুরেন্টে কাজও করেছেন।