বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকের সাংবিধানিক সমস্যার নিরসন হয়েছে। ২০১৮-২০২০ সালের জন্য নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। নতুন কমিটির সভাপতি পদে দেলওয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক পদে মাহবুব আহমদ রাজু এবং কোষাধ্যক্ষ পদে দিলওয়ার হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির বাকী সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি রহিম উদ্দিন, জাহাঙ্গীর খান, সাহেদ আহমদ, আলহাজ্ব ছয়াফ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদ বেবুল, শাহজাহান খান, সহ-কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ সুলতান আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এম মাসুদ আহমদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ এমরান আহমদ, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক দিলাল আহমদ, দপ্তর সম্পাদক জাকির হোসেইন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আব্দুল হাকিম হাদি। পরিচালকবৃন্দ হলেন মুহিবুর রহমান মুহিব, আলহাজ্ব আব্দুল শফিক, মামুন রশীদ, কয়েস আহমদ, সাদিক আহমদ।
গত ২৯ এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যা ৭টায় লন্ডন মুসলিম সেন্টারের হলরুমে বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট ইউকের পরিচালনা পর্ষদের এক সভা পরিষদের সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেনের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কোষাধ্যক্ষ মামুন রশীদ। সভায় বক্তব্য রাখেন ট্রাষ্টের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আশুক আহমদ আশুক, সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব রউফুল ইসলাম, মানিক মিয়া সোনা মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কয়সর উদ্দিন জালাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আফাজ উদ্দিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ, আলহাজ্ব আব্দুল শফিক, খয়রুল আলম, আব্দুল মুকিত খান মুক্তা, আলী আহমেদ বেবুল, এম মাসুদ আহমদ, আকরম আলী, আকবর হোসেন রবিন, আনোয়ার হোসেইন, ফরহাদ হোসেন টিপু, দিলাল আহমদ প্রমুখ। এছাড়াও সভায় বিয়ানীবাজার পৌরসভার নবনির্বাচিত প্রথম মেয়র ও বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্টের সদস্য আব্দুস শুকুর বক্তব্য রাখেন।
সভায় ট্রাষ্টের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সদ্য প্রয়াত আব্দুল মতলিব ও ক্যান্সারে মৃত্যুবরণকারী রোকনুজ্জামান খান রোকনসহ সকল মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করেন ট্রাষ্টের সাবেক কোষাধ্যক্ষ হাফিজ নাজিম উদ্দিন।
উল্লেখ, ট্রাষ্টের সাংবিধানিক জটিলতা সৃষ্টি হলে ২০১৬ সালের নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ট্রাষ্টের পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে ট্রাষ্টের বিভিন্ন প্রকল্প , নির্বাচন ও সংবিধান নিয়ে কতিপয় সদস্য চ্যারিটি কমিশনে অভিযোগ উত্থাপন করেন। ট্রাষ্টের উদ্যোগে বাংলাদেশের অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য প্রদান সম্পর্কে চ্যারিটি কমিশনে নেতিবাচক অভিযোগ উত্থাপনসহ আরো বেশ কিছু অনৈতিক অভিযোগ কয়েক দফা উত্থাপন করা হয়। দীর্ঘ দুই বছরে ধাপে ধাপে করা কোন অভিযোগ চ্যারিটি কমিশনে প্রমাণিত হয়নি। এজন্য ট্রাষ্টকে কয়েক হাজার পাউন্ডের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। ট্রাষ্ট নিয়ে কতিপয় সদস্য সামাজিক মাধ্যম ও কমিউনিটিতে বিভিন্নভাবে মিথ্যা, বানোয়াট ও অসত্য তথ্য পরিবেশন করেন এবং পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে নানা ধরণের মিথ্যা প্রচারণা চালান। এসব মিথ্যা, অসত্য প্রচারণা ও অভিযোগের ফলে বিয়ানীবাজার ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্টের কার্যক্রমে বিরাট ক্ষতি হয়।
সভায় বক্তারা ট্রাষ্টের বিরুদ্ধে এসব হীন ষড়যন্ত্র ও কর্মকান্ডে যারা জড়িত ছিলো তাদের প্রতি ধিক্কার ও তীব্র প্রতিবাদ জানান। বক্তারা ট্রাষ্টের এই সংকট উত্তরণে বলিষ্ট ভুমিকা পালনের জন্য পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ মামুন রশীদকে অভিনন্দন জানান।
উক্ত সভায় ট্রাষ্টের বিপুল সংখ্যাক সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি