ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া গোপালপুর বানিয়াপাড়ার দুলালী রানী (১৯) নামে এক তরুণী বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে আমরণ অনশনে বসেছেন। দুলালী রানী একই গ্রামের অখিল চন্দ্র বর্মণের মেয়ে। তিনি গড়েয়া ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণির প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
দুলালী রাণী জানান, একই এলাকার পরেশ চন্দ্র বর্মণের ছেলে দিনাজপুর পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র তাপস কুমার বর্মণের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাপস বর্মণ তাকে বিভিন্ন সময়ে দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ের ভিন্ন ভিন্ন স্থানে নিয়ে দৈহিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করে।
প্রেমের ঘটনা গ্রামে জানাজানি হয়ে গেলে দুলালীর বাবা অখিল চন্দ্র এ সম্পর্ক মানতে রাজি হননি। এ ঘটনায় দুলালী নিজ বাড়িতে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন তিনি। এ ঘটনায় দুলালীর বাবা গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজওয়ানুল ইসলাম শাহ (রেদো) জানান, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উভয় পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে আসার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্ত তাপস পরিষদে উপস্থিত হননি। পরে তাপসের বাবা তাঁর ছেলেকে নিয়ে আসার কথা বলে সাত দিন সময় চেয়ে নিলেও তাঁরা আর কোনো যোগাযোগ করেননি। তাই এ বিষয়ে মেয়ে পক্ষকে আইনি সহায়তা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে দুললী রানী ঘটনাটি জানতে পেরে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে বিয়ের দাবিতে তাপসের বাড়িতে গিয়ে অনশন শুরু করেন। দুলালীর উপস্থিতি টের পেয়ে তাপস ও তাঁর পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছে।