বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাজ্য যুব মহিলা লীগের মুক্ত আলোচনা সভা

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যৈষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রোববার ইস্ট লন্ডনের একটি হলে যুক্তরাজ্য যুব মহিলা লীগ আয়োজন করে এক মুক্ত আলোচনা সভার।

দক্ষ সংগঠক ছিলেন শহীদ শেখ কামাল

সালমা আখতার আলমের সভাপতিত্বে এবং যুক্তরাজ্য যুব মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক সাজিয়া স্নিগ্ধার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি  সৈয়দ মোজাম্মেল আলী, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের ইমিগ্রেশন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট এম এ করিম, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের নিগার ,যুক্তরাজ্য মহিলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি আনজুমান আরা আনজু ,  হুসনা মতিন, যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাধারন সম্পাদক সেলিম আহমেদ খান।  আলোচনার প্রধান বক্তা  হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক নইমুদ্দিন রিয়াজ ।
অনুষ্ঠানের প্রথমেই ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধিকার আন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ে আত্নত্যাগকারী সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
সংক্ষিপ্ত জীবন কাহিনী পাঠ করেন যুক্তরাজ্য যুবমহিলা লীগের সহ সাধারন সম্পাদক শাহিন লিনা এবং তানাকা নাসরিন পিংকি। ক্ষণজন্মা সঙ্গীত সংগঠক শহীদ শেখ কামাল কে নিয়ে    বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার স্মৃতিচারণ মুলক লেখা পাঠ করেন  নার্গিস সুলতানা।
মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নিবেদিত প্রান সংগ্রামী আদর্শবাদী কর্মী ও সংগঠক হিসেবে ৬৬ এর স্বাধিকার আন্দোলন , ৬৯ এর গন আন্দোলন ও ৭১ এর অসহযোগ আন্দোলনে শহীদ শেখ কামালের অগ্রণী ভুমিকা তুলে ধরেন। আলোচকরা বলেন  রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় হয়েও শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির প্রতি শেখ কামালের যে ভালবাসা,টান, শ্রদ্ধা ছিল  তা বিশ্বে বিরল। শহীদ শেখ কামাল ভালো গান গাইতেন , চমৎকার সেতার বাজাতেন, অভিনেতা হিসেবেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুপরিচিত ছিলেন। ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। গড়ে তুলেছিলেন স্পন্দন শিল্পি গোষ্ঠী।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা, ক্রীড়া ক্ষেত্রে  শহীদ শেখ কামালের অবদান নিয়ে আলোচনা করেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্গঠন এবং পুনর্বাসনে আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠা করা সে সময়  দেশের যুব সমাজকে একটি দিক নির্দেশনা দিয়েছিল এবং হতাশ হয়ে অন্ধকারে তলিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করেছিলো বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মুক্ত আলোচনায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য যুবলীগের সহ সাধারন সম্পাদক জামাল আহমেদ খান,  যুক্তরাজ্য যুবলীগের সহ সাধারন সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, লন্ডন মহানগর আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি এহসান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি আবদুল বাসির , স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি খালেদ জয়,  বঙ্গবন্ধু লেখক সাংবাদিক ফোরামের তাওহীদ ফিতরাত, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারন সম্পাদক কাউন্সিলর জসীম ,  বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট লন্ডন শাখার সভাপতি  নজরুল ইসলাম অকিব,  রহিমা রহমান, উদিচির কর্ণধার  গোলাম মোস্তফা,লেখক সাংবাদিক জুয়েল রাজ ,ব্যারিস্টার মনিরুল ইসলাম , বিশ্ব বাংলা ফাউনডেশনের সভাপতি শাহ বেলাল, মেহেদি হাসান , দোলন ,সোহেল, জাকির,মুনিরা মলি , কামাল, সুফিয়ান, মৃধা , মাসুদ, আতিক , যুব মহিলা লীগের মাহমুদা মনি সহ আরও অনেকে । বিজ্ঞপ্তি

Advertisement