সিরিয়াল কিলার রবার্ট মাউডস্লে। এই খুনি এবার বিশ্বরেকর্ড করেছে। মাটির নিচে বা আন্ডারগ্রাউন্ডে কাচে তৈরি একটি বাক্সে নিঃসঙ্গ কারাবাস করে তার এই বিশ্বরেকর্ড। মাটির নিচে ১৮ ফুট বাই ১৪ ফুট বাক্সে দিনে ২৩ ঘন্টার বেশি অবস্থান করছে সে। একদিন দু’দিন নয়। টানা ১৬,৪০০ দিন এভাবে ওই কাচের বাক্সে নিঃসঙ্গ কাটিয়েছে সে। বৃটিশ মিডিয়া এ খবর দিয়ে বলছে হরর ছবি ‘সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্পস’-এ হ্যানিবল লেকটারের কাহিনী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে সে।
খুনি রবার্ট মাউডস্লে ধারাবাহিকভাবে মানুষ খুন করেছে। শুধু তা-ই নয়। সে খুন করে সেইসব মানুষের ব্রেন ভক্ষণ করার দায়ে অভিযুক্ত। এ জন্য তার ভয়াবহতাকে নাম দেয়া হয়েছে ‘হ্যানিবল দ্য ক্যানিবল’।ওই সেলে একা একা অবস্থানকালে রবার্ট মাউডস্লে তার ভাতিজা গাভিন’কে লিখেছে একের পর এক চিঠি এবং কবিতা। তার এই ভাতিজা নিয়মিত তাকে দেখতে যান।মানসিক বিকারগ্রস্ত এই রবার্ট মাউডস্লের আছে মারাত্মক আইকিউ। তার পছন্দ ফাইন আর্ট, কবিতা এবং ক্লাসিক মিউজিক। এ ছাড়া পশুপাখি বিষয়ক ডকুমেন্টারি তার পছন্দ। ‘দ্য কিলার ইন মাই ফ্যামিলি’ ডকুমেন্টারিতে গাভিন বলেছেন, চাচা আমাকে চিঠি লিখতে পছন্দ করেন। টেলিভিশনে কি দেখছেন তা আমাকে বলেন। তিনি আসলে বণ্যপ্রাণি বিষয়ক প্রোগ্রাম খুব পছন্দ করেন।নিঃসঙ্গ এই কারাবাসের প্রথমদিকে তেলাপোকার সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছিল রবার্ট মাউডস্লে। ১২ বছর চুল কাটায়নি। কারণ, জেলখানার কোনো নরসুন্দর তাকে স্পর্শ করতে পারতো না। এখনও হাতে লেখা চিঠিতে সে স্বাক্ষরের স্থানে লেখে ‘উলফি’। চারটি যাবজ্জীবন কারাদ- ভোগ করছে রবার্ট মাউডস্লে। নিঃসঙ্গ এই কারাবাসে মাত্র এক ঘন্টা সময় তাকে দেয়া হয় শরীরচর্চার জন্য। এ সময় তাকে ঘিরে রাখে ৬ জন প্রহরী। তার রেকর্ড অনুযায়ী, কোনো বন্দির সঙ্গে তার যোগাযোগ করার অনুমতি নেই।