ডরসেটে একটি ট্রাফিক সিগন্যালের চিত্র এটি। উপরের সিগন্যালটি কর্তৃপক্ষ লাগালেও নিচের সিগন্যালটি কে বা কারা লাগিয়েছে কেউ বলতে পারছে না।
ব্রিটবাংলা ডেস্ক : করোনা ভাইরাসে গত চব্বিশ ঘন্টায় ব্রিটেনে আরো ৪১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা গত বুধবারের চাইতে ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। গত বুধবার মারা গিয়েছিলেন ৩৬৩ জন। আর গতকাল মারা যান ১৩৪ জন। সব মিলে ব্রিটেনে হাসপাতালে সর্বমোট মৃতের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৪শ ৬০ জনে গিয়ে দাঁড়াল।
এদিকে ডমিনিক কামিংস বিতর্ক চলছে ব্রিটিশ রাজনীতি এবং সংবাদ মাধ্যমে। ক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
বুধবার লিয়াসো কমিটির অনলাইন বৈঠকে ডমিনিক কামিংস ইস্যুতে সিনিয়র এমপিদের প্রশ্নবানে বিদ্ধ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ডমিনিক নিয়ে আর প্রশ্ন করে অফিসিয়াল সময় অপচয় না করে আরো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ দিতে এমপিদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
কলজারভেটিভ পার্টির প্রায় ৪০জন এমপি প্রকাশ্যে ডমিনিক কামিংস পদত্যাগ না করলে তাকে বরখাস্তের আহ্বান জানিয়েছেন। একই দাবিতে স্কটস্যান্ড মিনিস্টার পদত্যাগ করেছেন। তবে কেবিনেটের বেশির ভাগ সিনিয়র সদস্য ডমিনিক কামিংসের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
২৩শে মার্চ থেকে ব্রিটেনে লকডাউন শুরু হয়। আর ৩১ শে মার্চ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রধান উপদেস্টা ডমিনিক কামিংস করোনা আক্রান্ত স্ত্রী এবং চার বছরের ছেলেকে নিয়ে করোনা লকডাউন আইন লঙ্ঘন করে লন্ডন থেকে ২৬০ মাইল গাড়ি চালিয়ে ডারহামে নিজের বাবা মা’র বাড়িতে যান। তখন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন এবং হেলথ সেক্রেটারী মেট হেনকক লকডাউন আইন লঙ্ঘন করে ঘর থেকে বের না হতে, বয়োবৃদ্ধ কারো ঘরে না যেতে, দুরে কোথাও ভ্রমণ না করতে বারবার দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এরমধ্যেই ডমিনিক কামিংস ডারহামে যান।
লকডাউন আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ডমিনিক কামিংসকে পদত্যাগ করতে অথবা তাকে বরখাস্ত করতে জোর চাপের মুখেও ডমিনিককে সমর্থন করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ডমিনিক যথাযথ কারণে আইনসম্মত কাজ করেছেন বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী।