ব্রিটবাংলা ডেস্ক : আপিল কোর্টে নাগরিকত্ব মামলার শোনানিতে অংশ নেওয়ার জন্যে শামীমা ব্রিটেনে ফিরতে পারবেন না বলে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার ব্রিটিশ সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট লর্ড রিড রায় ঘোষণা করে বলেছেন, পাঁচ সদস্যদের বিচারপতির প্যানেল সর্বসম্মতিক্রমে হোম অফিসের পক্ষে রায় দিয়েছেন।
ব্রিটেনে ফিরতে না পারলে আপিল কোর্টের মামলাত শামীমা নাগরিকত্ব ফিরে পাবার সম্ভাবনাও নেই। ফলে শামীমা ব্রিটিশ নাগরিকত্ব ফিরে পাচ্ছেন না এটা প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী সাবেক হোম সেক্রেটারী সাজিদ জাভিদ শামীমার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেন। সাবেক হোম সেক্রেটারীর সিদ্ধান্তকে চ্যালেন্জ করে নাগরিকত্ব ফিরে পাবার দাবীতে আপিল করেছে শামীমার পারিবার। গত বছর জুলাই মাসে কোর্ট অব আপিলের এক রায়ে বলা হয়েছিল, ন্যায্য এবং কার্যকর আপিলের একমাত্র পথ হবে যদি শামীমাকে ব্রিটেনে ফিরিয়ে এনে শোনানিতে অংশ গ্রহণের সুযোগ দেওয়া হয়।
এরপর গত নভেম্বরে কোর্ট অব আপিলের রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেন্জ করে হোম অফিস। হোম অফিসের যুক্তি হল, শামীমা ব্রিটেনে ফিরলে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা আরো ঝুকির মুখে পড়বে। শুক্রবার হোম অফিসের চ্যালেন্জের পক্ষেই চুড়ান্ত রায় দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
টাওয়ার হ্যামলেটসের বেথনালগ্রীন একাডেমির ছাত্রী শামীমা বেগম, খাদিজা সুলতানা এবং আমিরা আবাসি ২০১৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারী গেটউইক এয়ারপোর্ট থেকে তুরস্কের ইস্তান্বুল হয়ে সিরিয়ার রাক্কায় পৌঁছান। তখন যাদের বয়স ছিল যথাক্রমে ১৬, ১৬ এবং ১৫। শামীমার বাকী দুই বান্ধবী নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারীতে সিরিয়ার উত্তর এলাকায় রিফিউজি ক্যাম্প আল জোর থেকে টাইমসকে দেওয়া এক স্বাক্ষাতকারে ব্রিটেনে ফেরার আকুতি জানিয়েছিলেন শামীমা বেগম। তখন তিনি ৯ মাসের সন্তান সম্ভাবা ছিলেন। তবে মার্চেই তার নবজাতকের মৃত্যু হয়। এর আগে তার আরো দুটি সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। আইএস যোদ্ধা ড্যাচ স্বামীর সঙ্গে ২০১৭ সালে রাক্কা থেকে এই ক্যাম্পে আশ্রয় নেন তিনি। শামীমার বয়স বর্তমানে ২১ বছর।
টাইমসের সঙ্গে স্বাক্ষাতকারে ব্রিটেনে ফেরার কথা প্রকাশের সাথে সাথেই সাবেক হোম সেক্রেটারী সাজিদ জাভিদ শামীমা বেগমের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব বাতিল করেছিলেন।