ব্রিটেনে সমকামী আশ্রয় পেতে বাড়ছে বাংলাদেশীদের সংখ্যা

ব্রিটবাংলা রিপোর্ট : বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার ছেলে যার নামের প্রথম অক্ষর “আ” । সে ব্রিটেনে এসেছিলো ষ্টুডেন্ট হিসাবে। হোম অফিসের নানা কড়াকড়ির কারনে সে বাধ্য হয়ে নিজেকে সমকামী হিসাবে দাবি করে ব্রিটেনে থাকার আবেদন করেছে।

“আ” জানায়, ব্রিটেনে থাকতে হলে তার এই মিথ্যের আশ্রয় ছাড়া অন্য কোন রাস্তা ছিলোনা।
ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য নিজেদের সমকামী হিসাবে দাবি করা বাংলাদেশীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। সম্প্রতি ব্রিটিশ হোম অফিসের প্রকাশিত এক রিপোর্টের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ১ জুলাই ২০১৫ থেকে ৩১ মার্চ ২০১৭ পর্যন্ত সময়ে সমকামী হিসাবে দাবি করে আশ্রয়প্রার্থীদের তালিকায় বাংলাদেশীদের অবস্থান দ্বিতীয়। যা অন্যান্য যেকোন সময়ের চেয়ে ১৪ শতাংশ বেড়েছে । এই তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানী নাগরিকরা। তবে,যেভাবে সমকামী হিসাবে আবেদনের সংখ্যা হঠাৎ করে বেড়ে গেছে সেভাবেই আবেদন প্রত্যাখ্যানের সংখ্যাও বেড়ে গেছে উল্লেখযোগ্য হারে। হোম অফিসের তথ্য অনুযায়ী এ ধরনের আবেদনের ৭০ শতাংশ প্রত্যাখ্যান করছে সরকার। মূলত যেসব দেশে সমকামীতাকে অপরাধ হিসাবে গন্য করা হয়, শাস্তি বিধান রয়েছে, সামাজিকভাবে ঘৃনার চোখে দেখা হয় সেসব দেশ থেকে আসা ইমিগ্রান্টরাই আশ্রয় লাভের জন্য এই পন্থা বেছে নেয়। বর্তমানে ব্রিটেনে বিভিন্ন উপায়ে আশ্রয় লাভের জন্য যারা আবেদন করেন তাদের মোট সংখ্যার ৬ শতাংশই হচ্ছে সমকামী দাবি করে আশ্রয় লাভের আবেদন। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ৩৫৩৫ জন সমকামী হিসাবে আবেদন করেছেন। এরমধ্যে ২ হাজার ৩শ ৭৯ জনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। এরমধ্যে পাকিস্তানী ১ হাজার নাগরিক আবেদন করেছেন যাদের ২৩৩ জনের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে আর বাকি ৭৬৬ জনের আবেদন প্রত্যাখ্যান হয়েছে। তালিকায় ২য় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশী নাগরিকরা। একই সময়ের মধ্যে ৪৫৪ জন বাংলাদেশী সমকামী দাবি করে আবেদন করে। তালিকায় ৩য় অবস্থানে রয়েছে নাইজেরিয়ার নাগরিকরা।
বিপুল সংখ্যাক আবেদন প্রত্যাখান হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সমকামীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা মানবাধিকার নেতা পল ডিনান বলেন, এ ধরনের প্রতিটি আবেদনের সাথে প্রত্যেকটা মানুষের জীবন মরনের সম্পর্ক রয়েছে। কারো আবেদন প্রত্যাখান করে তাকে তার দেশে ফেরত পাঠানো মানে তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া। পল ডিনান হোম অফিসকে অনুরোধ করেন আরো ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আবেদনগুলো পর্যবেক্ষন করার জন্য।
এদিকে হোম অফিস বলছে, প্রতিটি আবেদন সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষন করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

Advertisement