বড়লেখায় ভারী বর্ষণে জলাবদ্ধতা, জনদুর্ভোগ

সিলেট অফিস : মৌলভীবাজারের বড়লেখায় টানা প্রায় ১০ ঘণ্টার ভারী বর্ষণে ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে বড়লেখা পৌরশহর। শহরের বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও দোকানপাটে পানি ওঠেছে। এতে দোকানের মালামাল পানিতে ভিজে ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বড়লেখা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্নস্থান তলিয়ে যাওয়ায় সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন।

স্থানীয়রা জানান, গতকাল শনিবার রাত ১১টা থেকে বড়লেখায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়। একটানা চলে রবিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত। প্রায় ১০ ঘণ্টার ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি দ্রুত নেমে যেতে না পারায় পৌর শহরের বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ে। এছাড়া বড়লেখা-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্নস্থান তলিয়ে যায়।

সরেজমিন দেখা গেছে, বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে শহরের বিভিন্ন বাসাও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি উঠেছে। শহরের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠে মালামাল নষ্ট হয়েছে। কুলাউড়া-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের বড়লেখা থানা, হাসপাতাল, উপজেলা পরিষদ, পল্লী বিদ্যুতের সাব-স্টেশেন, ফায়ার সার্ভিসের সামনে, কাঠালতলী বাজার পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব স্থানে পানি ওঠায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পানি ঠেলে চলতে গিয়ে যানবাহন বিকল হচ্ছে। মানুষজন পানি মাড়িয়ে চলাচল করছেন। এতে তাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, দখল আর দূষণে নদী-নালা ও ছড়া-খাল ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানি প্রবাহের পথ বন্ধ হয়ে পড়েছে। ফলে বিভিন্ন সময় বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানি দ্রুত নামতে পেরে শহরে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।

এছাড়া পৌরশহরে অপর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণেও অল্প বৃষ্টিতে কৃত্রিমজলাবদ্ধতা দেখা দেয়। যার কারণে স্থানীয়দের বাসা-বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়ে। এতে তাদের লাখ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। বছরের পর বছর এই অবস্থা চলতে থাকলেও পৌর কর্তৃপক্ষ জলাবদ্ধতা নিরসনে কার্যক্রর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে স্থানীয়দের বার বার খেসারত দিতে হচ্ছে।

Advertisement