‘ভাষা আন্দোলনের নেপথ্যের মূল সংগঠক বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সভা অনুষ্ঠিত

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও ভাষা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে ‘ভাষা আন্দোলনের নেপথ্যের মূল সংগঠক বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।শনিবার সন্ধ্যায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ। নগর কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলাউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সরদার মাহামুদ হাসান রুবেলের সঞ্চালনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সদস্য মিজান ইবনে হোসেন, নগর কমিটির এম. মনসুর আলী, অধ্যাপক ড. সামছুদ্দিন ইলিয়াস, হারুন-উর-রশিদ, সালাউদ্দিন আল আজাদ, ডা. অসিত মজুমদার প্রমুখ।

শেখ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করা এবং বাঙালি ছাত্রসমাজকে দেশপ্রেমের চেতনায় শানিত করার লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠা করেন পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বাংলা ভাষা ধ্বংসের ষড়যন্ত্র সফলভাবে মোকাবিলা করা ছিল জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম সাফল্য। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট বর্ননা করতে গিয়ে সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপট ছিল ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত। আর এই বিশাল প্রেক্ষাপটে ততোধিক বিশালতা নিয়ে বিরাজিত একটি নাম শেখ মুজিবুর রহমান। ভাষা আন্দোলন ও বঙ্গবন্ধু, বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা সংগ্রাম, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ একটি অপরটির সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত; একটিকে ছেড়ে অন্যটি কল্পনাতে আসে না। একে অপরের সাথে অবিচ্ছিন্ন সম্পর্কে জড়িত।এসময় বক্তারা সাংগঠনিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে মহান ভাষা আন্দোলনে জাতির পিতার অসামান্য অবদানকে আগামী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়া এবং বাংলা ভাষার সঠিক ব্যবহারে অন্যান্যদের সচেতন করার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

Advertisement