মহামারির পরবর্তী এপিসেন্টার হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: ‍করোনা ভাইরাস মহামারির পরবর্তী বৈশ্বিক এপিসেন্টার বা উৎসস্থল হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার এমন কথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জাপান শেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত বেশির ভাগ দেশ লকডাউন। বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের বসতিপূর্ণ দেশ ভারতে চলছে ২৪ ঘন্টার পূণাঙ্গ লকডাউন। এর মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে আরো বলা হয়েছে, করোনা খভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বৃটেন ও অন্য দেশগুলোর সঙ্গে যোগ দিয়েছে ভারত। এতে জাপান থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত ব্যবসা বাণিজ্য ধসে পড়েছে।

উচ্চ মাত্রার এই করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বিশ্বকে একেবারে লকডাউন করে দিয়েছে। কোনো কোনো দেশে লোকজনকে ঘরের ভিতর রাখার জন্য রাস্তায় টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। উৎপাদন খাতসহ প্রায় সব রকম কর্মকা- বন্ধ করে মানুষ গৃহবন্দি করেছে নিজেকে। এ অবস্থায় ইতালির মিলানে ইউনিক্রেডিট ব্যাংকের অর্থনীতিবিদ এডোয়ার্ডো ক্যাম্পানেলা বলেছেন,সংক্রমণ বন্ধ এবং অর্থনীতি ধসে পড়ার মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাই বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সঙ্কট দ্রুতই বৈশ্বিক মন্দায় রূপ নিচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট ২ লাখ কোটি ডলারের প্রণোদনা বিষয়ক বিল পাস করছে এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াল স্ট্রিটে আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। তিন বছরে সেখানে মন্দা অবস্থা চলছিল। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ওয়াল স্ট্রিট। রয়টার্স তার হিসাবকে উদ্ধৃত করে বলছে, বিশ্বের কমপক্ষে ১৯৪টি দেশে মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। এতে কমপক্ষে ৩ লাখ ৭৭ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন কমপক্ষে ১৬ হাজার ৫০০। জেনেভাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র মারগারেট হ্যারিস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ ঘটছে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে। তিনি বলেছেন, ২৪ ঘন্টায় সংক্রমিতদের মধ্যে শতকরা ৮৫ ভাগ আক্রান্ত হয়েছেন ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে। তার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত ৪০ ভাগ। সোমবার এ দুটি অঞ্চলে আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ৪২০০০ মানুষ। মারা গেছেন কমপক্ষে ৫৫৯ জন। যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে আক্রান্তের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Advertisement