ব্রিট বাংলা ডেস্ক :: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সাহায্যকারী ও মিত্র দেশ হিসেবে ভারতকে মুজিববর্ষে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
তিনি বলেন, তাদের দেশের অভ্যন্তরের বিষয়ে যে সংঘাত, সংঘর্ষ, এটা চিন্তা করে আমরা তাদের আমন্ত্রণ জানাইনি। মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সাহায্যকারী ও সবচেয়ে বড় মিত্র দেশ ভারত।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সভাকক্ষে সমসাময়িক ইস্যুতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধিত্বকে আমরা বাদ দেবো এটাতো চিন্তাও করা যায় না।
তিনি বলেন, ‘মুজিববর্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানানোর মূল কারণ তারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় সহযোগিতা করেছে। আমাদের শরণার্থীদের সাহায্য করেছে। ভারতই আমাদের অস্ত্র ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনীর যৌথ কমান্ডে আমরা বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলাম। আমাদের রক্তের সঙ্গে ভারতের রক্ত মিশে আছে। কাজেই ভারতকে এই মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানো অকৃতজ্ঞতার পরিচয়।’
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার দুর্নীতির মামলা ২০০ কোটি না ২ কোটি এটা বিষয় না। দুর্নীতি হয়েছে কিনা সেটা দেখার বিষয়।
তিনি বলেন, দুদক স্বাধীন না হলে সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা টার্গেটে কেন। ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মুজিববর্ষে বিদেশি অতিথিরাও আসবেন। এ জন্য যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ এগিয়ে চলছে।
মন্ত্রী বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন আমাদের খুব জরুরি বিষয়। এটা যোগযোগের জন্যও খুব প্রয়োজন। মুজিববর্ষে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থলে অনেকেই যাবেন। বাসস