মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রে সরব থাকা সেই বেনু আর নেই

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে আন্তর্জাতিক জনমত সৃষ্টির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়ায় মার্কিন বন্ধুদের সাথে সরব থাকা রওশন আর বেনু আর নেই। ২৩ জুলাই ওয়াশিংটন স্টেটের সিয়াটল সিটিতে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর। তার লাশ দাফন করা হবে আগামী ৩০ জুলাই শনিবার বিকেলে পেনসিলভেনিয়ার ফিলাডেলফিয়া সিটির ভ্যালি ফোর্জ মেমরিয়্যাল গার্ডেন গোরস্থানে।এর আগে বাংলাদেশিদের উদ্যোগে গোরস্থানেই নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান শহীদ পরিবারের সন্তান এবং মুক্তিযোদ্ধা ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ।

ফিলাডেলফিয়া কম্যুনিটির লিডার ডা. ইবরুল চৌধুরী জানান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিভিন্ন সিটিতেই আমেরিকানরা র‌্যালি করেছেন। ফিলাডেলফিয়া সিটির র‌্যালিসমূহের অন্যতম সংগঠক ছিলেন ড. মীর আব্দুল মোনায়েম চৌধুরী এবং তার স্ত্রী রওশন আরা বেনু। এরপর বেনুর সন্তান আজিজ চৌধুরী সিয়াটলে বসতি গড়লে মা-বাবাও সেখানে চলে গেছেন। তবে যৌবন-শৈশবের স্মৃতি বিজড়িত বিশেষ করে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে লাগাতার কর্মসূচি পালনের জন্যে ফিলাডেলফিয়ার সাথে যে মায়ার বন্ধন জড়িয়ে রয়েছে, তার জন্যেই বেনু তার সন্তানদের জানিয়েছেন প্রায় তিন হাজার মাইল দূর এই সিটিতে যেন তাকে দাফন করা হয়। সেই অনুরোধেই ২৭ জুলাই বেনুর লাশ আনা হয়েছে।বেনুর মৃত্যু সংবাদে শোকের ছায়া নেমে এসেছে ফিলাডেলফিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী অধ্যুষিত সিটিসমূহে। অনেকেই বেলা ১২টায় জানাজা এবং বেলা ২টায় দাফনে অংশ নেবেন। দাফনের আগে কফিনে লাল-সবুজের পতাকা মুড়িয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাকে স্যালুট জানাবেন বলে আয়োজকরা উল্লেখ করেন।

পেনসিলভেনিয়া থেকে সাংবাদিক মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম (আরিফ) জানান, কুষ্টিয়া জেলার আলমডাঙ্গার বাবুপাড়ার চৌধুরী বাড়ির পুত্রবধূ রওশন আরা বেনুর মৃত্যুতে গভীর শোক এবং শোক-সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপণকারি বিশিষ্টজনদের মধ্যে রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক আবু আমিন রহমান, ড. নিনা আহমেদ, শেলী রহমান, ডা. ফাতেমা আহমেদ, ডা. ইবরুল চৌধুরী, ফারহানা আফরোজ, জোহরা খাতুন কলি ও মিলর্বন বরোর মেয়র মাহবুবুল তৈয়ব, আপারডাবী এবং মিলর্বন বরোর সকল নির্বাচিত কাউন্সিলম্যানসহ পেনসিলভেনিয়ার ২১টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘বন্ধু সংগঠন সমূহ’র কর্মকর্তারা।

Advertisement